ভ্রমণ মানুষের জ্ঞানচক্ষু খুলে দেয়। একটা মানুষের পুথিগত বিদ্যার সাথে যদি চর্মচক্ষে দেখার অভিজ্ঞতা যুক্ত হয় তাহলে সেই শিখন দীর্ঘস্থায়ী হয় বৈকি। কোন স্থানের তথ্যনির্ভর বর্ণনা, কোনো নতুন জিনিষের পুথিগত তথ্য-উপাত্য আলোচনা, ভ্রমণের সময়কার দেখা বিশেষ কিছুর নিখুঁত বর্ণনা পড়তে পড়তে একটা ভ্রমণের অনেকখানি জানা হয়; তবে যদি এর সাথে পুরো ভ্রমণটি একটা গল্পগাথা হয়ে উপস্থাপিত হয় তাহলে সেটি আরো সুখপাঠ্য হয়। বর্তমান সময়ে বই পাঠকের সংখ্যা একদমই বাড়ছে না বরং কমে যাচ্ছে। তাই ‘হাসিনের দেখা হিমালয়’ এমন একটি ভ্রমণকাহিনি, যেটা গল্পের আদলে একটি ছোট্ট শিশুর উৎসুক মন, মনে রাখার বিস্ময়কর ক্ষমতা, প্রতিটি নতুন বিষয়ের প্রতি অপার আগ্রহে ভ্রমণের বিষয় বস্তুগুলো পাঠকের মনের মধ্যে থরে থরে সাজিয়ে বসিয়ে দিতে পারবে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষও কতটা গুছিয়ে একটা ভ্রমণ করতে পারে! ভ্রমণবিষয়ক নতুন নতুন বিষয়ে নোট্স রাখা, যেকোনো আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে ভ্রমণের বিষয়গুলো আনন্দের সাথে আলোচনা করার ফলে ভ্রমণকাহিনি কতটা সুখপাঠ্য হয়, ভ্রমণকৃত এলাকার সার্বিক বর্ণনা মনের মধ্যে কতটা গভীর দাগ কেটে যায় সেটা ‘হাসিনের দেখা হিমালয়’ পড়লে সহজেই বোঝা যাবে।