মানুষের জীবন প্রবাহটা এমনই, যেখানে প্রত্যেকটা মুহূর্তে অনাকাক্সিক্ষত, অভাবনীয়, অকল্পনীয় সব ঘটনারা মিছিল করতে করতে একটা নির্দিষ্ট সময় ধরে জীবন পরিক্রমাটা পেরিয়ে যায়। আবার নতুন কোন ঘটনার আবির্ভাব ঘটে এবং সেটিও বেশ কিছু সময় পেরিয়ে জীবনপরিক্রমার অংশীদার হয়। যাপিত জীবনের এসব ঘটনাগুলোকে কখনোও কিছু বৈজ্ঞানিক, অবৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার আওতায় ফেলে আমরা নিজেকে সান্ত্বনা দেই অথবা নিজের মনকে প্রফুল্লও করে থাকি। মানুষ একজীবনে সব কিছু পায় না; কিন্তু পাওয়ার তীব্র বাসনায় আরো শত শত নতুন অধ্যায় পেরোতে পেরোতে সময় পার করতে থাকে। এই তীব্র বাসনায় পেরিয়ে যাবার ‘দৌড়’ কিংবা ভ্রমণটি কখনোও কখনো হয় অসম্ভব শক্তিশালী একটা ‘ইন্দ্রজাল’! এটিকে মনোবিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘টুইনফ্লেম’! এই টুইনফ্লেমের শক্তি জীবনে ভালো ও মন্দ দু’ভাবেই প্রভাব ফেলতে পারে। জীবন পরিক্রমার চরিত্ররাই সিদ্ধান্ত নেবে ওরা ওদের প্রাপ্ত ইন্দ্রজালটির কোন দিক উন্মোচন করবে। ‘মন ছুঁয়ে থাকা’ কাহিনিতে এই শক্তিশালী ইন্দ্রজালটিতে দুটি মানুষকে জড়িয়ে জীবনের কোন দিকে নিয়ে গেলো তারই বর্ণনা রয়েছে। ‘মন ছুঁয়ে থাকা’ পড়তে পড়তে নিজের জীবনের কোনো শক্তিশালী অনুভূতি খুঁজে পেলেও পেয়ে যেতে পারেন।