✪ফ্ল্যাপের লেখা- সে বছর খুব বৃষ্টি হলো পাহাড়ে; ভারী বর্ষণ যাকে বলে। রাঙামাটির অনেক জায়গায় পাহাড় ধ্বস হলো। পাহাড়ের নিচে চাপা পড়ে মারা গেলো শত শত মানুষ। সেনাবাহিনীর লোকবল সাধারণ জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে উদ্ধার কাজে নেমে গেলো। ঋতুরাজ, সেনাবাহিনীতে কর্মরত একজন সুদর্শন যুবক। বৃষ্টিতে ভিজে উদ্ধার কার্যক্রম চালাতে গিয়ে সে দেখলো, একটা ছোট্ট অবুঝ শিশু পাহাড়ের জলকাদার ভেতর বসে একটানা কেঁদে যাচ্ছে, বৃষ্টিতে ভিজে যাচ্ছে তার ছোট্ট দেহ; যা মায়ের উষ্ণতায় থাকার কথা ছিলো। কেউ তার কান্না থামাতে পারলো না। ঋতুরাজ তাকে বুকে জড়িয়ে নেয়ার সাথে সাথে কান্না থেমে গেলো। কী অমোঘ সম্পর্ক তার সাথে ঋতুরাজের? দূর্বা, যে কিনা পরিবারের সাথে সকল সম্পর্ক ছিন্ন করে পাহাড়ের স্কুলে পড়াতে এসেছে; যেই স্কুলটা ট্রাস্টি বোর্ডের অধীনে এবং ঋতুরাজ সেই বোর্ডের একজন সম্মানিত সদস্য। এদিকে ঢাকা থেকে রাঙামাটি আসার পথে বাসে পাশের সিটের যাত্রী শঙ্খের সাথে পরিচয় হয় দূর্বার, গড়ে ওঠে একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। জল কোথায় গিয়ে গড়াবে? শঙ্খ, ঋতুরাজ আর দূর্বার সম্পর্কের পরিণতি কী হবে? পাহাড়ের ভাঁজে ভাঁজে জন্ম নেয়া আরো অনেক চরিত্রের জীবনের গল্প প্রকৃতি কোন রেশমি সুতোয় বুনবে? এমন অনেক প্রশ্নের উত্তর নিয়ে এই 'পুতুল জীবন!'
১৯৯৫ সালের ০২ জানুয়ারি ফরিদপুর জেলায় জন্ম। তিনি পিতা মোঃ ইদ্রিস আলী এবং মাতা সায়লা পারভীন এর ছোট সন্তান। শিল্পকলা ও সৃজনশীল শিক্ষা বিভাগে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর কমপ্লিট করেছেন কলেজ অব এপ্লাইড হিউম্যান সায়েন্স থেকে। তার প্রকাশিত বইয়ের সংখ্যা তিনটি- 'নিরন্তর নৈঃশব্দ্যে', 'শেষ ট্রেনে ঘরে ফিরবো না' এবং 'আমি পাল্টে নিয়েছি রিংটোন'। তিনি 'ঝরাফুল সমাজকল্যাণ ফাউন্ডেশন' এর সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক। ভ্রমণ, বই পড়া এবং লেখালেখি করা তার প্রিয় শখ।