১৯০২ সাল। শরতের এক বিকেল। ভিয়েনার মিলিটারি অ্যাকাডেমি পার্কে বয়সী বাদাম গাছের ছায়ায় পাঠে নিমগ্ন এক তরুণ। ফ্রানজ কাপুস। হাতে একটি কাব্যগ্রন্থ। পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন অধ্যাপক হোরাচেক। বইটি হাতে নিয়ে দু- একটি পৃষ্ঠা নেড়েচেড়ে বললেন- শেষ পর্যন্ত আমাদের রেনে রিলকে কবি হয়ে গেল? কাপুসকে বলেন, ১৫ বছর আগে তিনি যখন সেন্ট পল্টনে লোয়ার মিলিটারি স্কুলে কর্মরত, রিলকে তখন সেই স্কুলের ছাত্র। ও ছিল শান্ত, গভীর বোধসম্পন্ন, মেধাবী। সামরিক স্কুলে পড়াশোনার সূত্রে কাপুস প্রিয় কবিকে পাঠায় নিজের কবিতা, জানতে চায় তাঁর মূল্যায়ন, উপদেশ। অনেকদিন পর আসে উত্তর। নীল খামের ওপর প্যারিসের সিলমোহর। শুরুটা এভাবেই। কখনো দেখা হয়নি তাদের। শুধুই পত্রালাপ। ভক্তের সাথে কবির। মিলিটারি অ্যাকাডেমির ছাত্র কাপুসের বয়স তখন উনিশ, রিলকের সাতাশ। রিলকের কাছে এ রকম চিঠি নতুন কিছু নয়। প্রায়ই আসত অপরিচিত, তরুণ ভক্তের চিঠি। প্রতিটি চিঠির উত্তর দিতেন ধৈর্য ও আন্তরিকতার সঙ্গে। তবে কাপুসের চিঠিতে অধ্যাপক হোরাচেকের প্রসঙ্গ তাকে মনে করিয়ে দেয় সেই মিলিটারি স্কুলের কথা, যেখানে কেটেছে জীবনের সবচে' তিক্ত সময়। সেই সূত্রেই কাপুসের সঙ্গে গড়ে ওঠে চমৎকার এক পত্র-সম্পর্ক। এসব চিঠিতে উঠে
জন্ম ভৈরবের পঞ্চবটিতে। পৈত্রিক ভিটা কুমিল্লার লক্ষনখােলা গ্রামে উচ্চমাধ্যমিক ভৈরবে । কবিতারও শুরু । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় সম্মানসহ স্নাতকোত্তর । পেশা সাংবাদিকতা । দৈনিক ভােরের কাগজ, মুক্তকণ্ঠ, চ্যানেল ওয়ান, সিএসবি নিউজ, এটিএন নিউজ হয়ে এখন কাজ করছেন ইনডিপেনডেন্ট টিভিতে। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : নােঙরের গল্প বাঁচাচ্ছি (২০০২), দ্রিাসমগ্র (২০০৫), মা হাওয়ার সন্তান (২০০৯), জলবৈঠক (২০১০)। রিলকে নৈঃশব্দে ও নিঃসঙ্গতায় (প্রবন্ধ ২০১০)। কবিতার জন্য পেয়েছেন ছােট কাগজ কবিতা সংক্রান্তি সম্মাননা ২০০৭’, জাতীয় কবিতা পরিষদ প্রবর্তিত কবি শামসুর রাহমান স্মৃতি পুরস্কার ২০০৭, শব্দগুচ্ছ পুরস্কার ২০১১, ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে পেয়েছেন কৃত্তিবাস পুরস্কার। একমাত্র সন্তান চর্যাপদ।