বিয়ের সাথে অনেক স্বপ্ন জড়িয়ে আছে। নামটা শুনলেই মনে একটা উদ্দীপনা আসে। চোখে ভাসে এক রঙিন সংসারের দৃশ্য। যেখানে শুধু সুখ আর সুখ, ভালোবাসারা আর ভালোবাসা। চারিদিকে ছড়ানো শুধু লাভ ক্যান্ডি। হ্যাঁ, বিয়ের মাধ্যমে এসব অর্জন হয়। কিন্তু এটাই কি বিয়ের শেষকথা? এরপরে কি আর কোনো আখ্যান নেই? দায়িত্ব, কর্তব্য, জিম্মাদারি, পেরেশানি, মনোমালিন্য, অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি—এগুলো কি নেই? বিয়ের পূর্বে নানান ফ্যান্টাসি লালন করার কারণে, সংসার জীবনে এসে অনেকেই ভীষণ হোচট খায়। বিয়ের উল্টো পিঠ না-জানা থাকার ফলে বিপরীতধর্মী মানুষের সাথে মানিয়ে নিতে তার কষ্ট হয়। আবেগের মোহ কেটে যখন বাস্তবতা সামনে এসে দাঁড়ায়, তখন সে নিজেকে মনে করতে থাকে অস্ত্রহীন যোদ্ধার মতন। ধাক্কা খেতে খেতে অনেকেই হাল ছেড়ে দেয়। বাড়তে থাকে দাম্পত্য-কলহ, বিবাহ-বিচ্ছেদ। তাই বিয়ে সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা সকলের ওপর জরুরি। সমস্ত ফ্যান্টাসি ঝেড়ে আমরা যদি সঠিক প্রস্তুতি নিতে পারি, তাহলে সংসারটা হয়ে উঠবে জান্নাতের একটি টুকরো। জীবনের তীব্র কষ্টের মূহূর্তগুলোও হয়ে উঠবে চরম প্রশান্তিকর। স্বামী-স্ত্রী-সন্তান-সন্ততি নিয়ে গড়ে উঠবে এক চোখ-জুড়ানো পরিবার। বইটিকে বলা যায় বিয়ে ও নারী-পুরুষের মনস্তত্ত্ব সম্পর্কে এক প্র্যাকটিক্যাল গাইডলাইন। এর প্রতিটি অধ্যায় আপনাকে দিবে বাস্তবতার সবক। সংসার জীবনে সঠিক পদক্ষেপ নিতেও উৎসাহ জাগাবে সমানতালে। বইটি যেমন অবিবাহিতদের জন্যে জরুরি, ঠিক তেমনি উপকারী বিবাহিতদের জন্যেও। অবিবাহিতরা যেমন বিয়ের আগেকার করণীয় দিক সম্পর্কে গাইডলাইন পাবেন, তেমনি বিবাহিতরা খুঁজে পাবেন সংসার-জীবনে ভারসাম্য আনার দারুণ সব সূত্র। এর বাইরে পশ্চিমা জীবনধারাকে ছুড়ে ফেলে ইসলামের কাছে আশ্রয় নেওয়ার তীব্র বাসনাও তৈরি হবে। ফ্যান্টাসি ঝেড়ে ফেলে আপনিও হয়ে উঠবেন দায়িত্ববান পুরুষ ও নারী।
আমি জাকারিয়া মাসুদ সত্যের আলাের সাথে পরিচিত হই ২০১১ সালে৷ লেখালিখির হাতেখড়ি ২০১৬ সালের মাঝামাঝি সময়ে৷ সত্যের আলাে থেকে যে শিক্ষা পেয়েছি, তা-ই ছড়িয়ে দেওয়ার ইচ্ছে থেকে লেখালিখিতে আসা৷ আমার প্রথম বই “সংবিৎ', দ্বিতীয় বই ‘ভ্রান্তিবিলাস', তৃতীয় বই ‘তুমি ফিরবে বলে। সহলেখক হিসেবে কাজ করেছি ‘সত্যকথন’ ও ‘প্রত্যাবর্তন' বই দুটোতে৷ আর... থাক না কিছু অজানা৷ আমাদের চারপাশে তাে কত ঘটনাই ঘটে যাচ্ছে, আমরা কি সবই জানি?