আমাদের পূর্বপুরুষদের জমিতে একদা গাঁজা চাষ হতো। শহর থেকে মাত্র পাঁচ কি.মি. দূরেই গাঁজা চাষের সেই জমিগুলোর অবস্থান। গাঁজার মৌসুমে যখন সব জমি থেকে একত্রে গাঁজাগুলো রপ্তানির উদ্দেশ্যে গোডাউনে নেওয়া হতো, তখন রীতিমতো পুলিশি পাহারার প্রয়োজন পড়তো। পুরো রাস্তা জুড়ে গাঁজা বোঝাই করা সারির পর সারি গরুর গাড়ি যাচ্ছে। দুই পাশে পুলিশের শক্ত পাহারা। আহা কি অপূর্ব দৃশ্য। এই যুগে এসে পুলিশি পাহারায় গাঁজা রপ্তানি আমাদের দেশের জন্য অসম্ভব এবং অকল্পনীয় ব্যাপার বটে। গাঁজার উৎপাদন এবং বিপনন নিয়ে আমাদের নওগাঁ শহরে বড়সড় একটা পুরাতন সমিতি আছে। গাঁজা সোসাইটি হিসেবে যেটি সুপরিচিত। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পুরাতন আমলের লাল দালান দেখলেই আমরা মনে করি ব্রিটিশ আমলে ব্রিটিশদের অর্থে নির্মিত দালান। অথচ নওগাঁর ক্ষেত্রে তা সম্পূর্ণ আলাদা। নওগাঁর প্রায় সব লাল দালানই গাঁজার টাকায় নির্মাণ করা হয়েছিলো। নওগাঁর গাঁজা ব্যবসার কড়া যৌবনের সময়ে এসে উপরস্থ লোকেদের মনে হলো, গাঁজা একটি মারাত্মক নেশা জাতীয় দ্রব্য। শরীরের জন্য প্রচ- ক্ষতিকর এবং দেশের যুব সমাজ গাঁজা সেবন করে নিজেদের তলিয়ে ফেলছে। এতএব এটির উৎপাদন বন্ধ করা বেশ প্রয়োজনীয়।