১. স্বামী-স্ত্রীর জিজ্ঞাসা ২. গল্পের ক্যানভাসে জীবন ৩. বিয়ে সংক্রান্ত তরুণ-তরুণীর জিজ্ঞাসা ভীষণ রকম গল্পময় মানুষের জীবন৷ শৈশব, কৈশোর, যৌবন, বার্ধক্য—জীবনের প্রতিটি পরতে পরতে থাকে নানান বলা না-বলা গল্প। জীবন যেহেতু গল্পময়, তাই মানুষকে কাগজে-কালিতে লেখা গল্পগুলো খুব সহজেই প্রভাবিত করতে পারে। কখনো কখনো এই গল্পগুলো হয়ে ওঠে বাস্তবতা থেকে কঠিন, কখনো-বা কল্পনার চেয়েও মধুর! মাঝে মাঝে মনে হয়, আমাদের জীবনটা গল্পের বাঁকে বাঁকে এগিয়ে চলেছে অনন্তকালের পথে। এ-জীবন কেবলই জীবন নয়, এ যেন ‘গল্পের ক্যানভাসে জীবন’ কাল্পনিক হলেও সত্য এমন সব জীবনগল্প নিয়ে সাজানো গল্পগ্রন্থ—‘গল্পের ক্যানভাসে জীবন’ দাম্পত্যজীবন জান্নাতি সুখ অনুভব করার একটি জীবন। আদম ও হাওয়া আলাইহিমুস সালামের মাধ্যমে জান্নাতে এ-জীবনের সূচনা। তবে দুনিয়াতে এসে এ-জীবনে সুখী হওয়াটা এক বিরাট চ্যালেঞ্জ। ঝিরঝিরে হাওয়া কিংবা ঝড়-ঝাপটা যেমন গাছকে আন্দোলিত করে, তেমনই ছোটো-বড়ো নানান সমস্যা দাম্পত্য জীবনে হানা দেয়। আন্দোলিত করে এ-জীবনকে। কৌশলী না হলে ভেঙে যেতে পারে একটি সুখের সংসার। দাম্পত্যজীবনের বহুমুখী সমস্যা ও চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলা করে সুখী হওয়ায় পদ্ধতি ও এ-সংক্রান্ত নানান জিজ্ঞাসার জবাব নিয়েই আমাদের এ-আয়োজন—'দাম্পত্যজীবন সংক্রান্ত স্বামী-স্ত্রীর জিজ্ঞাসা'। স্বামী-স্ত্রীর অনেকগুলো প্রশ্নের সমাধান ও পরামর্শমূলক উত্তর দেওয়া হয়েছে এখানে। আমরা আশাবাদী, পাঠকদের দাম্পত্যজীবনকে কলহমুক্ত করে সুখী জীবনযাপনে দারুণভাবে সহায়ক হবে বইটি ইন-শা-আল্লাহ। দো-জাহানে কল্যাণলাভের একটি উত্তম মাধ্যম হলো বিয়ে। নতুন জীবনে পদার্পণে মনে যেমন আশা সঞ্চারিত হয়, অজানা আশঙ্কাও দানা বাঁধে। তাছাড়া পারিবারিক ও সামাজিক বাধাও কম থাকে না। অনাগত আশঙ্কা ও নানান বাধাকে অতিক্রম করে সুখী জীবন গড়তে প্রয়োজন পূর্ব প্রস্তুতি। প্রস্তুতি গ্রহণের মধ্য দিয়ে দক্ষ নাবিকের মতো ঢেউয়ের মাঝেও দুরু দুরু বুকে, মনে আশা সঞ্চারিত করে তরুণ-তরুণীকে এগিয়ে যেতে হবে গন্তব্যে। থেমে যাবার যে সুযোগ নেই। বিয়ে-সংক্রান্ত বিভিন্ন জিজ্ঞাসা কিংবা বিবাহপূর্ব নানান সমস্যা মোকাবিলায় করণীয় দিকনির্দেশনামূলক বিষয়াদি নিয়েই আমাদের এ-আয়োজন ‘বিয়ে সংক্রান্ত তরুণ-তরুণীর জিজ্ঞাসা’। আমরা আশাবাদী, তরুণ-তরুণীদের অনাগত জীবনের আশঙ্কাকে দূর করে কার্যকরী সিদ্ধান্ত গ্রহণে দারুণভাবে সহায়ক হবে বইটি, ইন-শা-আল্লাহ।
আরিফ আজাদ একজন জীবন্ত আলোকবর্তিকা- লেখক আরিফ আজাদকে বর্ণনা করতে গিয়ে একথাই বলেছেন ডঃ শামসুল আরেফিন। গার্ডিয়ান প্রকাশনী আরিফ আজাদের পরিচয় দিতে গিয়ে লিখেছে, “তিনি বিশ্বাস নিয়ে লেখেন, অবিশ্বাসের আয়না চূর্ণবিচুর্ণ করেন।” আরিফ আজাদ এর বই মানেই একুশে বইমেলায় বেস্ট সেলার, এতটাই জনপ্রিয় এ লেখক। সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের সাহিত্য অঙ্গনে সবচেয়ে আলোড়ন তোলা লেখকদের একজন আরিফ আজাদ। চট্টগ্রামে জন্ম নেয়া এ লেখক মাধ্যমিক শিক্ষাজীবন শেষ করে চট্টগ্রাম জিলা স্কুলে। একটি সরকারি কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখানে উচ্চশিক্ষা সম্পন্ন করেন। লেখালেখির ক্যারিয়ারের শুরু থেকেই আরিফ আজাদ এর বই সমূহ পাঠক মহলে ব্যাপক সাড়া ফেলে। তার প্রথম বই ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ’ ২০১৭ সালের একুশে বইমেলায় প্রকাশ পায়। বইটির কেন্দ্রীয় চরিত্র সাজিদ বিভিন্ন কথোপকথনের মধ্যে তার নাস্তিক বন্ধুর অবিশ্বাসকে বিজ্ঞানসম্মত নানা যুক্তিতর্কের মাধ্যমে খণ্ডন করে। আর এসব কথোপকথনের মধ্য দিয়েই বইটিতে অবিশ্বাসীদের অনেক যুক্তি খণ্ডন করেছেন লেখক। বইটি প্রকাশের পরপরই তুমুল জনপ্রিয়তা পায়। এটি ইংরেজি ও অসমীয়া ভাষায় অনূদিতও হয়েছে। ২০১৯ সালের একুশে বইমেলায় ‘প্যারাডক্সিক্যাল সাজিদ - ২’ প্রকাশিত হয়ে এবং এটিও বেস্টসেলারে পরিণত হয়। সাজিদ সিরিজ ছাড়াও আরিফ আজাদ এর বই সমগ্রতে আছে ‘আরজ আলী সমীপে’ এবং ‘সত্যকথন’ (সহলেখক) এর মতো তুমুল জনপ্রিয় বই।