আমাদের পুরো শিক্ষা ব্যবস্থাই হচ্ছে পরীক্ষানির্ভর। এখানে প্রায়োগিক বিষয়গুলো অনেক কম। গ্র্যাজুয়েট হওয়া এবং জব পেয়ে যাওয়া- এই দুইটার মধ্যে একটা গ্যাপ রয়েছে। গ্যাপের জায়গাটা হলো জবের জন্য প্রিপেয়ার হওয়া।
সদ্য স্নাতক হিসেবে আমাদের খুবই প্রতিযোগিতামূলক জব মার্কেটে প্রবেশ করতে হয়। অনেকেই তালগোল হারিয়ে ফেলে। আর এখানে তালগোল হারিয়ে ফেলাটাই স্বাভাবিক। যেখানে আমার ওঠা, বসা, কথা বলা, বাচনভঙ্গি, আমি কেমন শব্দ ব্যবহার করছি, কীভাবে খাচ্ছি, বিবেক, বুদ্ধি, চিন্তা প্রক্রিয়া প্রত্যেকটা বিষয় বিবেচনায় নেওয়া হয়।
জব প্রোভাইডার অর্থাৎ নিয়োগ কর্তারা আসলে কী চাচ্ছে, কেমন মানুষ চাচ্ছে, কী ধরনের স্কিল সেট চাচ্ছে সেটা বুঝে সে অনুযায়ী নিজেকে উপস্থাপন করে, ক্যারিয়ারের শুরুটা ভালো করতে পারাটা গুরুত্বপূর্ণ।
আমি কীভাবে আমার সঙ্গে সুইটেবল এবং আমার জন্য ফিট ক্যারিয়ার পাথ ঠিক করব, সে অনুযায়ী কীভাবে আমার ক্যারিয়ার প্ল্যান করব, কীভাবে প্রিপারেশন নিব, কীভাবে জব সার্চ করব, কীভাবে সিভি বানাব, কীভাবে কভার লেটার লিখব, কীভাবে আমার নেটওয়ার্ক তৈরি করব, কীভাবে সেলফ ব্র্যান্ডিং করব, কীভাবে রিক্রুটার মাইন্ডসেট বুঝব, কীভাবে ইন্টারভিউয়ের প্রিপারেশন নেব এবং একজন ফ্রেশার হিসেবে কর্মপরিবেশে কীভাবে নিজেকে মানিয়ে নেব এবং উত্তরোত্তর নিজের উন্নতি ধরে রাখব, এ যাবতীয় বিষয় ইনশা আল্লাহ্ আমরা জানব।
জন্ম সরিষাবাড়িতে। গ্রাম এবং মফস্বল মিলিয়ে বেড়ে উঠা। বাবা ডাক বিভাগে কর্মরত ছিলেন। বাবার বদলির চাকরি, সেই সুবাদে ছোটবেলা থেকেই অনেক ধরণের পরিবেশ এবং প্রতিবেশে থাকা হয়েছে। ঢাকায় লম্বা একটা সময় কেটেছে, বিভিন্ন মেসে থেকে। নানা ধরণের চিন্তা প্রক্রিয়ার মানুষের সাথে মেশা হয়েছে যা তার অবজার্ভেশন ক্ষমতাকে শাণিত করতে সহযোগিতা করেছে। অনার্সে পড়ালেখার বিষয়বস্তু ছিল বিজনিস ইনফর্মেশন টেকনোলজি। ক্যারিয়ারের শুরুতে সফটওয়ার ডেভেলপার হিসেবে ৩ বছর কাজ করেছেন। একটা সময় লেখালেখির ভূত মাথায় চাপে। সেই ভূত মাথায় নিয়ে অনেকদিন ঘুরে বেড়িয়েছেন। সেটা একটি ভিন্নধর্মী জার্ণি ছিল। সেই জার্ণির রূপান্তর ঘটে আবারও মাহমুদুল হাসান সোহাগ ভাইয়ের সান্নিধ্যে এসে। পেশাগত জীবনে অন্যরকম গ্রুপের কয়েকটা প্রতিষ্ঠানে মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। মানুষ নিয়েই ওনার কাজ কারবার। ৬ বছর হলো ট্যালেন্ট ম্যানেজমেন্ট নিয়ে কাজ করছেন। লেখকের কাজের অনেক বড় একটা অংশ হলো ট্যালেন্ট নারচার করা। কে কীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়, সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে কী কী বায়াসনেস কাজ করে, কার দক্ষতার জায়গা কোথায়, একশন এবং থটের গ্যাপ কোথায়, কার ক্যারিয়ার কোন দিকে হওয়া উচিত, কে কীভাবে আরও ভাল পারফর্ম করতে পারে- এসব বিষয়ে ইনসাইট দিয়ে থাকেন। অন্যরকম গ্রুপের হয়ে লেখকের হাজার+ ইন্টারভিউ কনডাক্ট করার সুযোগ হয়েছে। ফ্রেশারদেরকে নিয়ে বেশ কয়েকটা জব রেডিনেস প্রজেক্ট করা হয়েছে। এছাড়াও পাইপলাইন ক্রিয়েশন, ট্যালেন্ট নারচারিং, পারফরম্যান্স ইভালুয়েশন, অনবোর্ডিং পলিসি, OKR Development, পলিসি ডেভেলপমেন্ট এরকম HR এর প্রত্যেকটা সেক্টরে তার ইন ডেপথ কাজ করার সুযোগ হয়েছে।