"মানসিক প্রতিবন্ধকতা ও তার প্রতিকার" বইটির শেষের ফ্ল্যাপ-এর লেখাঃ সমাজে এমন কিছু মানুষ আছে যারা দৈহিক ভাবে কোনাে না কোনাে দিক থেকে অক্ষম। এ ধরনের অক্ষম লােকদের প্রতিবন্ধী বলা হয়। প্রতিবন্ধিদের মধ্যে অনেকেই আছে, যারা জন্মগতভাবেই প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মায়ের কোলে আসে। আবার কেউ কেউ জন্মগতভাবে প্রতিবন্ধকতার শিকার ছিল না। জন্মের পরে শারীরিক বা মানসিক অক্ষমতায় আক্রান্ত হয়। মস্তিষ্ক বা অঙ্গের কোনাে ত্রুটির ফলে তার মধ্যে অক্ষমতা দেখা দেয়। এতে তার জীবনযাপন প্রণালি নানারকম সমস্যায় আক্রান্ত হয়। যারা মানসিকভাবে প্রতিবন্ধী স্বভাবতই তারা জীবন সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করে এক পিছিয়ে পড়া সৈনিক হিসেবে। শুরু হয় তার জীবনের অসম লড়াই। শেষ পর্যন্ত তারা আর কাঙ্ক্ষিত লক্ষে এগিয়ে যেতে পারে না। আমাদের বাংলাদেশের মােট জনসংখ্যার বড় একটি অংশ প্রতিবন্ধী। কেউ শারীরিক প্রতিবন্ধী, কেউ দৃষ্টি প্রতিবন্ধী, কেউ শ্রবণ প্রতিবন্ধী, কেউ বুদ্ধি প্রতিবন্ধী, কেউ বাক প্রতিবন্ধী, আবার কেউ মানসিক প্রতিবন্ধী। এরা সমাজের বোঝা। কেন এমনটা ঘটে ? এর অন্তরালে কী আছে ? এর রহস্য নিয়ে মনােবিজ্ঞানীরা আলােচনা করেছেন। তারা বলেছেন, জন্মগত এবং পরিবেশগত কারণে এমনটিকে আংশিক বা সম্পূর্ণ ভাবে উৎপাটিত করতে পারি। এসব বিষয় নিয়ে চিন্তাশীল প্রবন্ধিক ডেল কার্ণেগী তার 'মানসিক প্রতিবন্ধী ও তার প্রতিকার’ গ্রন্থে সুন্দর ভাবে আলােচনা করেছেন। নানা দৃষ্টিকোন থেকে একাধিক ব্যবহারিক উদাহরণের মাধ্যমে তার বক্তব্যকে আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন। প্রতিবন্ধিতা একটি বড় সমস্যা। কিন্তু এই সমস্যাও কমিয়ে আনার সুযােগ আছে। প্রতিবন্ধীকে আত্মনির্ভরশীল করে গড়ে তুলতে পারলে তার নিজের সমস্যা যেমন কমে, তেমনি কমে সামাজিক সমস্যাও। ডেল কার্ণেগী তাঁর গ্রন্থে এর প্রতিকারের সহজ উপায় দেখিয়েছেন। যারা এ ধরনের সমস্যায় জর্জরিত। তাদের কাছে “ মানসিক প্রতিবন্ধিকতা ও তার প্রতিকার’ বইটির গুরুত্ব হবে অপরিসীম । শুধু তাই নয়, সকল শ্রেণীর পাঠকের কাছে এটি একটি আদর্শ গ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত হবে।
Ruhul Amin Babul কবি, সাহিত্যিক, সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা । জন্ম ১৯৫৪ সালে নারায়ণগঞ্জ জেলার গ্রামে | ১৯৭১ সালে আগরতলায় প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি এ অনার্স এম এ | কর্মজীবনে সাংবাদিকতা, সাহিত্যসেবা ও প্রকাশনা শিল্পের সাথে জড়িত। বাংলাদেশের মৌলিক ছড়াসাহিত্য বাংলাদেশ” ও “পল্লীকবি জসীমউদদীন” প্ৰকাশিত হয়।