সারারাত ঊনমানুষের অন্তঃকঙ্কাল নেড়েচেড়ে দেখি পাজরের হাড়গুলো ব্যথায় কাঁপছে, নুয়ে পড়েছে হৃদয় পিঠের অগোছালো ডালগুলো চমকে উঠছে থেকে থেকে, পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে অলিন্দ নিলয় তবু ঝড় এলে এখনো ঝরে পড়ে কিছু ফুল, অভিমানে ধুলোয় লুটায়, সন্ধ্যায় কলপাড়ে পড়ে থাকা বকুল; কারো কারো পায়ের তলে লেপ্টে থাকে তবু গন্ধ ভাসে বাতাসে, আসমান জমিন মিশে গেছে দূরে কোথাও গোধুলির লাল, কাঁটার পৃথিবীতে মানুষ করছে উন্মাতাল ছল
শহরে এখনো কান বাড়ালে শোনা যায় বিরহী পাখির গান, সেখানেও গোল বাঁধে সন্ধ্যায় বিস্মিত কতোগুলো চোখ জ্বলে থাকে সারারাত যেন এই ছাড়া আলো নেই কোথাও অনন্ত অন্ধকারে পুড়ে গেছে শহুরে শ্মশান, বাতাসে ভেসে গেছে দুঃখের দেনা
তখনো রোদ ওঠে পৃথিবীর বুকে অথচ ঊনমানুষের কঙ্কাল গুলো বরফে চাপা পড়ে আছে, তুলে দেখি কারো কারো চোখে লেগে আছে প্রত্যাখানের দাগ
অক্ষিকোটর থেকে গড়িয়ে পড়ছে নীল, সাদা বরফের ভেতরে সেই নীল, অজস্র নদী হয়ে গড়িয়ে পড়ছে ঢালে, ফুপিয়ে উঠছে থেকে থেকে বুকের মধ্যে বন্দী সেই নদী, ব্যথা শুকাতে দেয়না,
তখন অসংখ্য দীর্ঘশ্বাস ইল্যুইশনের গল্প হয়ে মুখ থুবড়ে পড়ে দুঃখের দুনিয়ায়।
সফলতার গল্পের চেয়ে ব্যর্থ মানুষের গল্প আমাকে অধিক স্পর্শ করে, ঊনমানুষের অন্তঃকঙ্কাল সেরকম কয়েকজন ব্যর্থ মানুষের গল্প; এই মানুষগুলো একই সাথে ব্যর্থ ও সুখী অথবা তারা দুঃখ গোপন করবার কৌশল শিখে ফেলেছে, হয়তো তাদের কাছে জীবনের ভিন্ন মানে।
-এনকাই কাইমেন