ফ্লাপ ---- মানুষজাতী কখনোই নিখাঁদ ভালোবাসা ও ত্যাগকে মূল্যায়ন করতে পারেনা। নিঃস্বাৰ্থভাবে কেউ যখন কিছু করে তখন তাকে সবাই দূর্বল ভাবে।ইচ্ছাকৃত ভাবেই হোক কিংবা অনিচ্ছাকৃত ভাবেই হোক।ফলে ভুক্তভোগী মানুষটাকে চারিদিকের কাছের মানুষগুলো এত্ত বেশি অবহেলা করে যে সে নিজেকে আবার নতুন করে গড়ে তুলতে বাধ্য হয়।শুধুমাত্র নিজে একটু বাঁচার আশায়। নিস্বাৰ্থভাবে জীবনের সবকিছু বিলিয়ে নিজের জন্য যখন খুব অল্প সময় থাকে মানুষটার তখন তাকে পূনরায় ভেঙ্গে আবার নতুন করে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত হতে হয়। তখন ঐ কষ্টদেয়া আপন মানুষগুলোই আগের মানুষটাকে আবার খুঁজে পেতে চায়।অথচ ঐ মানুষগুলো জানেনা একটা মানুষ কতটা অসহায় বোধ করলে নিজেকে একেবারেই অন্যরকম করে তৈরি করে ফেলে।মানুষ আসলে ঠকেঠকে শেখে।তাই সহজমানুষটাই একসময় হয়ে ওঠে সবচেয়ে দুর্বোধ্য। অর্থের বিনিময় ছাড়া কেউ কোন কাজকরলে সেটার আমরা কোন মূল্য দেইনা।অথচ,এই সত্যটা আমরা কেউ বুঝিনা যে নিজের সবচেয়ে মূল্যবান সময় কোনকিছুর আশা ছাড়াই ব্যয় করছে সেই মানুষটাকে প্রতিদান হিসেবে একটু ভালোবাসতে জানতে হয়।তার অসময়ে ভরসার হাতটা গুটিয়ে না নিয়ে বলতে হয় পাশে আছিতো।
আহমেদ শিমু। স্নাতকোত্তর, সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও উদ্দ্যোক্তা বিভাগ, গাৰ্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজ। জন্ম: এগারই অক্টোবর মানিকগঞ্জ জেলার, ঘিওর থানার শ্রীবাড়ি গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। 'দ্য ব্ল্যাক চ্যাপ্টার অব লাইফ' লেখকের পঞ্চম বই এবং চতুর্থ উপন্যাস। তার প্রকাশিত বইগুলো হচ্ছে-'স্পর্শিত অনুভূতি', 'শেষ পৃষ্ঠা', 'অদৃশ্য দেয়াল' ও 'দর্পণ'। ফেসবুক আইডি: Ahmed Shimu.