বাংলাদেশে কনটেন্ট মার্কেটিং টার্মটা জনপ্রিয় হয়েছে খুব বেশিদিন হয়নি, বরং বলতে গেলে এটি এখনো নতুন। দেশে ’ক্রিয়েটর ইকোনমি’ বাড়ছে, সেই সাথে কনটেন্ট নিয়ে মানষের আগ্রহ ও সচেতনতাও বাড়ছে। যার ফলে, অদূর ভবিষ্যতে দেশে প্রচুর কনটেন্ট মার্কেটারের চাহিদা তৈরি হবে, কিন্তু যথেষ্ট যোগান থাকবে না। কারণ দেশে ভালো কন্টেন্ট মার্কেটার তেমন তৈরি হচ্ছে না। এই বইটি আপনাকে কনটেন্ট মার্কেটিং বিষয়ে সম্যক ধারণা দেবে, যা কনটেন্ট মার্কেটিংকে শক্ত ক্যারিয়ার হিসেবে নেবার পথ তৈরি করে দিতে পারবে। আপনি নবিশ বা দক্ষ যা-ই হউন না কেন, এই বই আপনাকে সাহায্য করবে বিক্রয়যোগ্য কনটেন্ট তৈরি ও বাজারজাত করে আপনার ব্যবসা, পণ্য, সেবা বা পার্সোনাল ব্র্যান্ডকে বিকশিত ও টেকসই করতে, এবং এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করতে। আমার সিংহভাগ পাঠক আমাদের দেশীয় বিজনেস বা মার্কেটিংয়ের কেস স্টাডি পড়তে ভীষন পছন্দ করেন; যেটার সাথে তারা নিজেদের একাত্ম করতে পারেন। সমস্যা হলো, কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের অসংখ্য বিদেশি কেসস্টাডি আপনি গুগলে সার্চ করলেই পাবেন, কিন্তু আমাদের দেশীয় কোম্পানির দেশীয় মার্কেটার বা দেশীয় উদ্যোক্তা বা ব্যবসায়ী দ্বারা নির্বাহ করা কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের কেসস্টাডি খুঁজে পাওয়া কঠিন। আমি বেশ কয়েকটা দেশি কেস স্টাডি এই বইতে উল্লেখ করে আমার পাঠকদের জন্য সে কাজটা সহজ করে দিয়েছি। দেখানোর চেষ্টা করেছি যে, কনটেন্ট মার্কেটিংয়ের মৌলিক সূত্রগুলো আমাদের দেশেই কত চমৎকারভাবে প্রয়োগ করা হচ্ছে! আশাকরি, ভিনদেশী কেসস্টাডিগুলোর সাথে সাথে স্থানীয় কেসগুলোও পাঠকদের জন্য একই সাথে উপভোগ্য ও শিক্ষণীয় হবে।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। ধানমন্ডি গভ. বয়েজ থেকে জন্ম, বেড়ে ওঠা ও স্থায়ী বসবাস ঢাকাতে। ধানমন্ডি গভঃ বয়েজ হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক ও ঢাকা সিটি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ চুকিয়ে অস্ট্রেলিয়াতে পাড়ি জমান উচ্চতর শিক্ষালাভের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে পড়াশোনা শেষ করে দেশের মাটিতে ফিরে এসে মার্কেটিংয়ে এমবিএ করেছেন। ভোক্তা সন্তুষ্টির উপর তাঁর একটি একাডেমিক গবেষণাপত্র রয়েছে। ভবিষ্যতে চার্টাড মার্কেটার হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে। মার্কেটিং কর্মকর্তা ছিলেন দেশীয় টেকনোলজি স্টার্টাপ, ই-কমার্স, মার্কেটিং এজেন্সি, এবং দেশি-বিদেশি কয়েকটি সফটওয়্যার কোম্পানিতে। বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং পেশায় রয়েছে। নিজস্ব একটি ডিজিটাল মার্কেটিং কনসালটেন্সি ফার্মও রয়েছে। ২০০৭ সাল থেকে অনলাইনে বাংলা ভাষায় নিয়মিত লেখালেখি করছেন। গত কয়েক বছর ধরে মার্কেটিং ও ব্র্যান্ডিং নিয়ে তিনি প্রায় নিয়মিতই লেখালেখি করছেন, দেশের ব্র্যান্ড চর্চাজীবিদের কাছে সেগুলো পেয়েছে তুমুল পাঠকপ্রিয়তা। প্রলয় হাসানের মার্কেটিংয়ের অনুসন্ধিৎসু লোকাল কেইস স্টাডি ছাপা হয়েছে একাধিক জাতীয় দৈনিক ও ম্যাগাজিনে, বানানো হয়েছে ডকুমেন্টারিও। একদিন বাংলাদেশের সর্বক্ষেত্রে পরিবেশবান্ধব ও এথিক্যাল মার্কেটিংয়ের চর্চা শুরু হবে, প্রলয় হাসান এটি মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন।