শবে বরাতে রুটি-হালুয়া খাওয়া ও বিতরণ করা এ দেশের ঐতিহ্য। ঈদে মিলাদুন্নবীতে মিলাদ পড়া ও মিষ্টি খাওয়া আমাদের বাপ-দাদার রীতিনীতি। শবে কদরে মসজিদে মরিচ বাতি দিয়ে সাজানো একটি নেক কাজ। শবে মেরাজে ১২ রাকাতে ৩০০ বার সুরা ইখলাস পড়া আমাদের নানি-দাদিদের পুরোনো আমল। উপরিউক্ত কথাগুলো শুনে আপনি নিশ্চয় অবাক হয়েছেন। কিন্তু এ কথাগুলো আমাদের অনেকেরই প্রিয় বুলি। ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির নামে এ জাতীয় বিদআতকে সমাজে ছড়িয়ে দেওয়ার মিশনই তাদের মূল লক্ষ্য। অপরদিকে কেউ কেউ শব্দ দূষণ করে বলে বেড়ায়, শবে বরাত, শবে কদর বলতে কিছুই নেই। বাড়াবাড়ি আর ছাড়াছাড়ির ভেতর আমরা আটকে আছি। অথচ মুমিন থাকবে মধ্যমপন্থায়। ইবাদত করবে শরিয়া অনুযায়ী। মহব্বত জাহির করবে কুরআন-হাদিসের সীমারেখায় বসে। কারণ, ইসলাম একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার নাম। একজন মুমিন কখনোই মনচাহি জীবন কামনা করতে পারে না। তার সব কাজ হবে দীনমাফিক। মেরাজ, শবে বরাত, শবে কদর, আশুরা ও ঈদে মিলাদুন্নবীর মতো ধর্মীয় দিবসের ব্যাপারে আমাদের স্বচ্ছ ধারণা থাকা চাই। কোন দিবস বা রজনীতে ইবাদত করব, আর কখন বিরত থাকব—সে বিষয়ে কুরআন-সুন্নাহ আলোকে মুফতি নুর উদ্দিন নুরী হাফিজাহুল্লাহ বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি রচনা করেছেন। সম্পাদনার দুরূহ দায়িত্ব সামলে নিয়েছিলেন মান্যবর পীর সাহেব, আল্লামা মুফতি জাফর আহমদ সাহেব দা.বা.। আলোচিত বিষয়ের উপর সাবলীল গদ্যে এবং একইসাথে প্রমাণনির্ভর এই অসামান্য গ্রন্থটি বাঙালি পাঠককে উপহার দিয়েছে ইত্তিহাদ পাবলিকেশন।
Title
শবে মেরাজ শবে বরাত শবে কদর আশুরা ও ঈদে মিলাদুন্নবী