কোদাল দিয়ে মাটি নয়, কলম দিয়ে খাতা খুঁড়ে বের করে আনেন অনবদ্য সব কবিতা। সহজ ভাষা, আইরিশ ঐতিহ্য ও আধুনিক কাব্যরীতির সংমিশ্রণে অনন্য এক ঢঙ। কবি চরিত্রের আনন্দ-পিয়াসী স্বভাব, মানুষের সঙ্গে সহজ মনে মেলামেশা, মাটির কাছাকাছি অবস্থান, অল্প কথার ঘনত্বের মধ্যে অনেক কিছু বলার দক্ষতা তার কবিতায়। ১৯৩৯ সালের ১৩ এপ্রিল উত্তর আয়ারল্যান্ডের এক কৃষিজীবী পরিবারে জন্ম। মাটিতে ফসল ফলানোর কাজ তাদের পারিবারিক ঐতিহ্য ও শত বছরের পেশা। সেই বাড়ির ছেলে সিমাস হিনি হয়ে উঠলেন কবিতার চাষা। যিনি মনে করেন শিল্পের এক ধরনের শক্তি আছে, মানুষকে তা বদলে দিতে পারে। সিমাস হিনির সাথে জীবনানন্দ দাশের অপূর্ব মিল খুঁজে পাওয়া যায়। উবধঃয ড়ভ ধ ঘধঃঁৎধষরংঃ এবং উড়ড়ৎ রহঃড় ঃযব উধৎশ পাঠ করলে বাংলার প্রকৃতির কথাই যেন পাঠকের মনে আসে। হিনি মনে করেন, কবিকে সবসময় স্রোতের বিপরীতেই থাকতে হয়। যেখানে কাকের সাথে তার সম্প্রীতি, উপনিবেশের সাথে বিদ্বেষ। কোকিলের প্রলোভনে অবিশ^াস, আস্থা ছোট পাখির সাহসী ডানায়। ইউরোপীয় পাখিদের আচরণ বরাবরই তাকে আতঙ্কিত রাখে। ১৯৯৫ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান। তবে নোবেল সম্পর্কে তার ভাষ্যÑ নোবেল পুরস্কার পাওয়া নিরাপদ ভ‚মিধসে আটকে পড়ার মতো। সমালোচকদের মতে তিনি হলেন সর্বশেষ গীতি কবি। দীর্ঘদিন অসুস্থতায় ভুগে ৩০ আগস্ট ২০১৩ সালে চুয়াত্তর বছর বয়সে তার আবাসভ‚মি ডাবলিনে মারা যান।