মূলত উপন্যাসটি দুটি পর্বে ভাগ করা, প্রথম পর্বে...... ইয়াং জেলা পুলিশ সুপার মেহতাজ এবং তার স্ত্রী সাংবাদিক মিরা, তারা মূলত একটি লাশ তদন্ত করতে গিয়ে খুঁজে পায় অনেক গুলো রহস্য, গত কয়েক মাস যাবত সারা দেশে বেশ কয়েকটা গুম এবং খুনের ঘটনার দারুণ যুগসূত্র খুঁজে পায় এই মেহতাজ- মিরা দম্পতি। গুম হওয়া প্রতিটা ব্যাক্তি সমাজের চোখে প্রভাবশালী, এবং পরিচিত মুখ। সেই সব গুম হওয়া পরিচিত মুখ গুলোর ডাটা সংগ্রহ ও গুমের সময়, পরিস্থিতির যোগসূত্র ধরে এগোতে থাকে একের পর এক ঘটনা। সব রকম ধারণাকে মিথ্যে প্রমান করে পরিশেষে মেহতাজ, মিরা, এবং ডিটেক্টিভ সাকিব ছুটতে থাকে জাস্ট একটি নামের পিছনে, নামটি একজন নারীর, যার নাম "এলিজা" উপন্যাসের দ্বিতীয় পর্বে থাকছে..... মা বাবা হারা আশরাফুল ইসলাম বহু বছর আগে পড়াশুনার জন্য পাড়ি জমান রানীর দেশ ইংল্যান্ডে, সেখানে পরিচয়,: প্রণয়, এবং বিয়ে: হয় লোরি' নামের ফরাসি এক নারীর সাথে। ঠিক তাদের ঘর আলো করে আসে ফুটফুটে এক কন্যা। বাবা ভালোবেসে কন্যার নাম রাখেন এলিজাবেথ" এলিজাবেথ এর বয়স যখন পাঁচ বছর, তখন আশরাফুল ইসলাম কি মনে করে যেন, ইংল্যান্ডের মায়া ছেড়ে একেবারের জন্য স্ত্রী কন্যা নিয়ে চলে আসেন নিজের মাতৃভূমিতে। নিজের দেশে প্রাণ খুলে বাঁচার জন্য বিশাল অট্টালিকা কিনে স্ত্রী সন্তান নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস শুরু করেন। সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয়নি। নিজের দেশের বেহাল সড়ক ব্যবস্থায় সড়ক দূর্ঘটনায় প্রাণ হারায় প্রিয়তম স্ত্রী। এলিজা অল্প বয়সে মা হারা হয়ে যায়। বাবা তার সর্বোচ্চ আদর ভালোবাসা দিয়ে কন্যাকে বড় করতে থাকে। সেটাও দীর্ঘায়ত হলো না। মাত্র পনেরো বছর বয়সে এলিজা বাবাকেও হারিয়ে ফেলে। জীবনের কঠিন এক পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে থাকে এলিজাবেথ। অদ্ভুদ সুন্দুরী হওয়ায় সমাজের আসল রুপ একটু একটু করে এলিজার সামনে এসে ধরা দেয়। এলিজা হিসেব মিলাতে পারে না। ঠিক সেই সময়ে কোন এক হিংস্র কালো থাবা তার উপর পড়া মাত্রই কোথায় এত সাহস আর শক্তি এলিজার কাছে চলে আসে, সে নিজেও জানে না। ধর্ষণের চেষ্টা করায় মাত্র ষোল বছর বয়সে এলিজা প্রথম নৃশংস ভাবে খুন করে তার দূর সম্পর্কীয় এক চাচাকে। সেই থেকে এলিজাবেথ হয়ে উঠে অন্যরকম এক মানবী। এলিজা তার সৌন্দর্য্যকে কাজে লাগিয়ে সমাজের ওই সকল আগাছাকে নিজ হাতে হত্যা করে, যারা ইচ্ছেমত অন্যায় করে, কিন্তু প্রভাবশালী হওয়ায় সমাজের আইন তাদের বিচার করে না। আর এভাবেই এগোতে থাকে নানান ঘটনা।:
সালমা বিনতে শামছ, পিতা শামসুল আলম, মাতা হাবীবা আলম। ছোটবেলা থেকে ঢাকার ধামরাইতে বেড়ে উঠা হলেও জন্ম ১০ ডিসেম্বর নোয়াখালিতে, পিতৃস্থান কুমিল্লা। পড়াশুনা ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স (অধ্যায়নরত) পাশাপাশি হাদিস বিভাগে কামিল (অধ্যায়নরত) ছোট বেলা থেকে লেখালেখির সঙ্গে জড়িত। বিভিন্ন পত্রিকা, ম্যাগাজিনে কবিতা, গল্প, উপন্যাস লিখেন। অসংখ্য যৌথ গ্রন্থের সাথে রয়েছে একক গ্রন্থ "অস্তিত্ব', ধ্রুবতারা, নীল পাখির চিলেকোঠা, ও শান্তি একটি ফুলের নাম"।