ফ্ল্যাপে লিখা কথা প্রথম প্রকাশ হয় ১৯৬৩ সালে। শিখদের নিয়ে সবচেয়ে সমন্বিত এবং বিশ্বাসযোগ্য বই এটি। নতুন সংস্করণে-জাতীয় জীবনে শিখ সম্প্রদায়ের মূল স্রোতে ফিরে এই বিবরণ হালনাগাদ করা হয়েছে। খুশবন্ত সিং তাঁর নিজস্ব চিরচেনা ধারণা সহজভঅবে লিখেছেন। যাতে সাধারণ পাঠক বুঝতে পারেন শিখ ধর্মের উৎপত্তি বিকাশ ও তার পরিনতি। পুরানো ধলিলপত্র ঘেটে বইটি লেখা হয়েছে। পঞ্চদশ শতাব্দীতে সমাজ, ধর্ম এবং রাজনীতিতে শিখদের বিশ্বাসের যে কাঠামো ছিল সে-বিষয়টি দ্বিতীয় খণ্ডে ১৮৩৯-২০০৪ সাল পর্যন্ত বর্ণনা করা হয়েছে। মূল পারসিক, গুরুমুখি এবং ইংরেজির ওপর ভিত্তি করে লেখক শিখতত্ত্বের প্রসার এবং সংকলিত পবিত্রলিপিকেও চিহ্নিত করেছেন।
শিখদের শান্তিবাদ থেকে জঙ্গীবাদে রূপান্তরের দলকে বলা হয় ‘খালাস’ এবং এই দলটির নেতা গুরু গোবিন্দ সিং- এর জীবনকাহিনীর বিস্তারিত বর্ণনা আছে, আছে শিখদের সাথে মোঘল এবং আফগানদের সম্পর্কের কথা।
শিখদের যে চিন্তা চেতনা-তারমূলে রয়েছে গুরুবাদ। এক্ষেত্রে গুরুর দেওয়া নির্দেশ শিরোধার্য্য। এই শিখ ধর্মের সাথে সূফীবাদের অনেক মিল রয়েছে। তাদের চিন্তা চেতনা, ধর্মের অনুশীলন সবই গুরু বা মুর্শিদকেন্দ্রিক। অনেকটা বৈষ্ণবধর্মের আচার-আচারণ।
সূচিপত্র * শিখ সাম্রাজ্যের পতন * পাঞ্চাবে ব্রিটিশ ক্ষমতার দৃঢ়করণ * সামাজিক এবং ধর্মীয় পুনর্গঠন * রাজনৈতিক আন্দোলন, মার্কসবাদী, জাতীয়তা ও সাম্প্রদায়িকতা * শিখ ও দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ