মনের সুস্থতার কোনো গ্যারান্টি নেই। কেউ নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারবে না, আমার মন সব সময় রোগমুক্ত থাকে। আজ মন যদি হারাম দৃষ্টি থেকে বেঁচে থাকে, কাল গীবতের মাধ্যমে জিভের গুনাহ করে বসে। পরশু জিভের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকলে আবার গানবাজনার ফাঁদে পড়ে যায়, ইবাদতে লৌকিকতা চলে আসে, আত্মতৃপ্তিতে ভুগে। এভাবে একের পর এক নিত্যনতুন অসুখ দানা বাধতে থাকে। আসলে মনের কোনো রোগই বলে-কয়ে আসে না। এ জন্য এর চিকিৎসাও আমৃত্যু জারি রাখতে হয়। যতদিন হৃদয়ে স্পন্দন আছে, ততদিন মনের চিকিৎসাও চলমান থাকবে। ইহসানের স্তরে পৌঁছাতে ঘষামাজার কোনো শেষ নেই। রবের দিদার লাভ করার আগ পর্যন্ত মনকে তাই ঘষে যেতে হবে। আর তাই মনের অসুখগুলো আরও বিস্তারিত জানার লক্ষেই এই বইটির অবতারণা। মনের ওপর লাগাম এর প্রথম কিস্তি যারা পড়েছেন, তারা যেন এবার মনের অসুখগুলো আরও ভালোভাবে, আরও ব্যাখ্যাসহ বুঝতে পারেন, তার সূক্ষ্ম অসুখগুলো জেনে সেগুলোর চিকিৎসা গ্রহণ করতে পারেন, সেই লক্ষেই মনের ওপর লাগাম দ্বিতীয় কিস্তি। একটি সুস্থ মন নিয়ে জান্নাতের স্বপ্নিল ভুবনে যাবার স্বপ্ন যারা দেখেন, তাদের জন্য বইটি হোক একটি সেরা গাইডবুক।