হৃদয়ে আমার রূপসী বাংলা হৃদয়ে আমার রূপসী বাংলা সুপ্রিয় হে মাতৃভ‚মি.... যেখানেই থাকি এ হৃদয় জুড়ে বসে আছো শুধু তুমি। হে আমার মা জননী... জীবনের প্রতি বাঁকে বাঁকে আমি তোমাতেই চিরঋনী। জন্মের পর চক্ষু মেলেই তোমাকে দেখার পরে, শত জনমের স্বপ্ন সুবাসে মন উঠেছিল ভরে। পালিত হয়েছি আদরে আদরে ঢেকে রেখেছিলে মায়ার চাদরে তোমার মায়াবী শীতল ছায়াতে বেড়ে উঠে এই আমি, নিজেকে আজকে মনে হয় যেন হীরার চেয়ে ও দামী। পুরো পৃথিবী ঘুরে বেড়িয়েছি, মানুষের মত মানুষ হয়েছি। জগতের এত রূপ দেখেও কেন হৃদয়টা মরুভ‚মি? কারন, আমার চোখের মনিতে তুমি, তুমি শুধু তুমি..... তোমার তুলনা শুধুই যে তুমি সন্দেহ তাতে নেই, তাই পাগল মনের আগল ভেঙ্গে বিবরণ কিছু দেই। আমরা স্বপ্নের ভ‚-স্বর্গ তুমি জীবনের লীলাভ‚মি। মরনের পরে পরাপারেও পাশে থেকো শুধু তুমি। তব কাশবনে যখন কাশফুল হাসে শারদীয় সুবাতাসে... দূর আকাশে সাদা মেঘেরাও তখন ভাসে তার পাশে পাশে। বাদলা দিনের বৃষ্টিতে ভেজা জবুথবু তালগাছে; বাবুই পাখির জীর্ণ কুটিরে মনে হয় কিছু আছে। সর্ষে ফুলের হলুদের সাথে মিশে সূর্যের আলো, সোনার বাংলার সোনালী আভা ফুটে উঠে আরো ভালো। বর্ষায় ভরা ধান ক্ষেতে যখন বহে সবুজের ঢেউ, মনের আনন্দে মন মাঝিরা গান গায় কেউ কেউ। সারাদিন পর সূর্য মামার নিদ্রা যখন পায়, পাখিদের দল করে কোলাহল উড়ে নীড়ে ফিরে যায়। পাল তোলা নাও, অজ পাড়া গাও কালো কপোতাক্ষ নদী, স্মৃতির পাতায় চলচ্চিত্র হয়ে চলমান নিরবধি। এটাই আমার রূপসী বাংলা যাঁর রূপের নেইকো শেষ, চিরচেনা চিরস্থায়ী হৃদয়ে প্রাণের বাংলাদেশ।