নির্জনতাপ্রিয়, স্বপ্নপ্রবণ, সৌন্দর্যপিয়াসী, মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ এই লেখিকা ভালোবাসেন প্রকৃতি ও মানুষ। তিনি তাঁর অনুসন্ধিৎসু চোখে গভীর মমতায় মানুষকে পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। পৃথিবীর ছাত্রী তিনি প্রতি মুহূর্তে। তাঁর লেখায় মানব প্রেম, প্রকৃতি প্রেম, নিসর্গ প্রীতি, সুখ-দুখ, বেদনা-বোধ, আর্তি আকুলতার পাশাপাশি এসেছে সংসার, সমাজ, দেশ, রাষ্ট্র, ভালোবাসা, বিদ্রোহ ও প্রতিবাদ। মেধা ও মননে আধুনিক এই লেখিকা বুকে ধারণ করে আছেন বাংলার চিরসবুজ আর ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্তে ভেজা ছিনিয়ে আনা রক্তিম সূর্য- স্বাধীনতার পতাকা। এই পৃথিবীতে মানুষের আসা ও যাওয়ার মধ্যবর্তী সময়টাই হলো জীবন। এই জন্ম ও মৃত্যুপথ অবধি যে জায়গা সেটা আসলে একটা শূন্যস্থান। মহাবিশ্বের এক রহস্যজনক সত্তার নির্দেশে জীবনকে এই শূন্যস্থান পূরণ করে চলতে হয়। জন্মিলে মরিতে হবে। মাঝখানের সময়টুকু ঘটনাচক্রে ভরিয়ে তুলতেই হবে। জীবনের স্রোতকে মেনে নিয়ে মৃত্যুপারে পৌঁছাতে হবে। এই উপন্যাস জীবনের সেই করুণ স্রোতগাঁথা। যার কেন্দ্রীয় চরিত্র এক উচ্ছ্বল, আদুরে, মেধাবী মেয়ে রূপন্তী। তাকে ঘিরে রয়েছে আরো অনেক চরিত্র। এদের সবাইকে নিয়ে জীবনের বৃক্ষমূলে গাঁথা এক সহজ সরল ভাষার হৃদয়স্পর্শী উপন্যাস। ‘জীবন শুরু হয় যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে, আবার শেষও হয় যন্ত্রণা দিয়েই।’