‘পর্দার ওপারে দাঁড়িয়ে কে? ভালোবাসা, জীবন, মৃত্যু না অন্যকিছু? শৈশব ঢেকে যায় যৌবনের মুগ্ধতায়; শেষক্ষণ উঁকি দেয় বার্ধক্যের পাতায়। সবকিছু উড়ে যায় নীল হাওয়ায় মিশে বিষাদের ছায়াটুকু থাকে অবশেষে’... জীবন, প্রেম, ভালোবাসা, মায়া-মমতাÑ এগুলো এক ধরনের ঐন্দ্রজালিক মোহমায়া। ধরাও যায় না, ছোঁয়াও যায় না; তবুও আমাদের জীবনকে প্রতিনিয়ত পরিচালনা করে। প্রেম-বিরহ অপ্রাপ্তি আকাক্সক্ষার ঢেউ আমাদের যাপিত জীবনকে ক্রমাগত মোহগ্রস্ত করে তোলে। মায়ার বাহুডোরে বাঁধা পড়ে থাকি। আমরা সেই মোহে পড়ে জাগতিক রূপে মত্ত থাকি বারংবার- প্রতিনিয়ত। এই মোহমায়াকে কেন্দ্র করেই আমাদের প্রেম-ভালোবাসা বেঁচে থাকা; কী আশ্চর্যভাবেই না আবর্তিত হয়! স্বপ্নজগতে বিচরণ করা কিংবা মানুষের চিরন্তন আবেগগুলোকে একত্রিত করে ভিন্ন রূপে ভিন্ন চরিত্রে ধারণ করা, তথা প্রেমের শাশ্বতরূপ প্রদান করাই আমার লেখনীর মূলমন্ত্র। গ্রন্থটিতে মূলত আমাদের যাপিত জীবনের দুঃখ, কষ্ট, বিমূর্ষ কিংবা ধ্যানমগ্ন বিষয়বস্তু অত্যন্ত মায়াময় শব্দতরঙ্গে স্থান পেয়েছে। ভালোবাসা ছড়িয়ে দিতে চাই শব্দের অক্ষরে, ধ্বনি-প্রতিধ্বনিময় মাঠে কিংবা কাব্যরসের ব্যঞ্জনায়। প্রেমময় নিঃশ্বাস, মাটির সোঁদাগন্ধ, আশা জাগানিয়া কিংবা প্রেম ও সৌন্দর্যবোধের প্রতিফলন যেমন রয়েছে, তেমনি শূন্যতা বিষণ্নতা, বিরহ-কাতর মনের মর্মবেদনার অন্তর্নিহিত এবং চিরন্তন রূপগুলোও যুগপৎভাবে স্থান পেয়েছে এই কাব্যগ্রন্থে। আশা করি এ কাব্যগ্রন্থটি ঋদ্ধ পাঠকমহলে সমাদৃত হবে।