‘নিজের প্রাক্তন স্ত্রীর সঙ্গে ঘুরেছেন শুনলে আপনার বর্তমান স্ত্রী রাগ করবে না?’ ‘সে তো দেশে আসেনি?’ ‘আপনি বলবেন না?’ ‘না, সব কথা বলা কী জরুরি?’ খুশি ঠোঁট হালকা বাঁকিয়ে হেসে বলল, ‘জীবন ভাইয়া, আপনি যে সম্পর্কেই থাকেন না কেন অন্ততপক্ষে সে সম্পর্কে একটু লয়্যাল থাকার চেষ্টা করবেন। তাহলে আর বারবার সংসার পাল্টাতে হবে না।’ জীবন অন্য দিকে তাকিয়ে বলল, ‘সব মেয়েরা তোর মতো ম্যাচিওর নয়। হলে হয়তো ছেলেরা এত বিপদে পড়ত না।’ খুশি তাচ্ছিল্য হেসে বলল, ‘এত ম্যাচিওর হয়েওবা কী লাভ হয়েছিল? সেই তো দিন শেষে ডিভোর্সি তকমা লাগিয়ে ঘুরছি।’ ‘সেখানে তোর কোনো দোষ ছিল না। আমাদের দুজনার সংসার আমার মা মানে তোর শাশুড়ি ভেঙেছিল।’ আমাদের দেশের মেয়েদের মধ্যে বিয়ের আগে এবং পরে চরম একটা ভীতি কাজ করে, শাশুড়িভীতি। বহু যুগ ধরে শাশুড়িরা নিজের একটা অদ্ভুত নেতিবাচক প্রতিচ্ছবি তৈরি করেছেন। আসলেই কী শাশুড়িরা নেতিবাচক নাকি শাশুড়িরা তাদের পুত্রবধূর জীবনে আর্শীবাদস্বরূপ! মেয়ের এই শাশুড়িভীতির ভিত্তিতেই লেখা হয়েছে ‘শাশুড়িনামা’ উপন্যাস। এখানে সব রকমের শাশুড়ি পাবেন। কেউ পুত্রবধূর জীবনকে স্বর্গ সুখে ভরিয়ে দিয়েছে তো কেউ নরক করে দিয়েছে তাদের জীবন। আশা করি বইটি আপনাদের ভালো লাগবে।
শারমিন আক্তার সাথী। পিতা মো: শহিদুল ইসলাম। মাতা নাছিমা বেগম এবং প্রাণপ্রিয় স্বামী মো: আজমীর হোসেন। মায়ের কোল আলোকিত করে ১৯৯৭ সালের ২২ই সেপ্টেম্বর বরিশাল জেলার ছোট্ট একটি গ্রাম রূপাতলীতে জন্মগ্রহণ করেন। অতঃপর শৈশব এবং কৈশোরও কাটে সেখানেই। মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক স্থানীয় স্কুল-কলেজ থেকেই পাশ করেছেন। লেখালেখিটা তার কাছে মনের ভাব প্রকাশের এক চমৎকার মাধ্যম। নিজের ভাবনাটাকে লেখার মাধ্যমে অন্যের কাছে পৌঁছানোর চমৎকার মাধ্যম লেখালেখি। কল্পনার জগতের সব রঙ মিশিয়ে সাদা কাগজে শব্দের তুলি টানতে ভালোবাসেন। লিখতে ভালোবাসেন। লিখে যেতে চান জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত। ২০১৯ সাথে তার প্রথম বই 'সমীকরণের মিশ্রণ' প্রকাশিত হয়। অতঃপর একাধারে 'সমান্তরাল বাঁধন, তোমায় নিয়ে, কিছু সাদা টিউলিপ, সংবৃত এবং সর্বশেষ প্রকাশিত হয়েছে 'ঘর' বইটি। এছাড়াও প্রকাশ পেয়েছে দুটি ই-বুক। 'শেষ পাতা' ও 'একদিন বিকালে সকাল হয়েছিল' দীর্ঘ সময় ছিলেন লেখালিখি থেকে খানিকটা দূরত্বে। সময় এসেছে ঘুচিয়ে নেওয়ার। এবং করেছেনও তাই। 'রৌদ্রোজ্জ্বল দিনে একটু মেঘের ছায়া' বইটিতে পাঠকদের সকল অভিযোগ ঘুচিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে।