সংগীতে তবলা সংগত অপরিহার্য। উপমহাদেশীয় সংগীতের ধারায় তাল-লয়ের প্রতি গায়কদের বিশেষভাবে লক্ষ রাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যার কারণে তাল ও লয়ের সংগীতে পূর্ণমাত্রায় সহযোগিতা করতে চর্মনির্মিত বাদ্যযন্ত্র অপরিহার্য। আর এই চর্মনির্মিত বাদ্যযন্ত্রের মধ্যে তবলা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য এবং সমাদৃত। স্বতন্ত্র বাদনেও তবলা সমগ্র বিশ্বে একটি বিশেষ স্থান অধিকার করেছে। অথচ তবলা শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত বইয়ের বড় অভাব। বিষয়টি বিবেচনা করে দেবদুলাল সমদ্দার তার দীর্ঘদিনের সাধনার ফলস্বরূপ ‘তবলা শিক্ষা : তাল ও ছন্দ’ বইটি রচনা করেছেন। বইটিতে একক বাদনের জন্য তিনতাল, ঝাঁপতাল, তেওড়া, চৌতালের সুরুয়াত, পেশকার, কায়দা, ল¹ী, টুকড়া, পরণ, চক্রাদার তেহাই, রেলা ইত্যাদিসহ প্রচলিত অন্যান্য তাল এবং রাবিন্দ্রিক তালের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। সুন্দর ও সাবলীল ভাষায় রচিত বইটি যেকোনো শিক্ষার্থীর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বইটিতে প্রতিটি আঙুল সঞ্চালনের জন্য প্রয়োজনীয় কায়দা বিস্তারগুলো লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। যাতে শিক্ষার্থীরা প্রতিটি বোলবাণী স্পষ্টভাবে আয়ত্ত করতে পারে সেদিকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বইটি শিক্ষার্থীদের দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষার অবসানে একটি প্রয়াস। সহজভাবে তবলা শেখার জন্য বইটি অপরিহার্য ভূমিকা পালন করবে বলে আশা রাখছি।