আর্সেন লুপাঁ সিরিজের ৩ ও ৪ নং বই নিয়ে সাজানো হয়েছে 'আর্সেন লুপাঁ সমগ্র ২' ✅ আর্সেন লুপাঁ বিখ্যাত ধনকুবের মঁসিয়ে গুরনে-মার্টিনের কন্যা জার্মেইনের সাথে ডিউক শাহমারেজের বিয়ে সন্নিকটে। এমন সময় মঁসিয়ে গুরনে-মার্টিনের কাছে আর্সেন লুপাঁর একটা চিঠি এলো। চিঠিতে সে মঁসিয়ে গুরনে-মার্টিনের সংগ্রহে থাকা মাদাম ডি লম্বলের রাজমুকুটটা চায়। তিন বছর আগেও আর্সেন লুপাঁ একবার মঁসিয়ে গুরনে-মার্টিনের বাড়িতে লুট করেছিলো। কিন্তু সেবার রাজমুকুটটা নিতে পারেনি। তাই তিন বছর পর আবারও সে হাজির হয়েছে মুকুটটা নিজের করে নিতে। চিঠি পেয়ে তটস্থ হয়ে মঁসিয়ে গুরনে-মার্টিন ডেকে পাঠান বিখ্যাত গোয়েন্দা গ্যাশার্দকে। গ্যাশার্দ বিগত দশ বছর ধরে লেগে আছে লুপাঁর পেছনে। লুপাঁকে ধরতে এবার সে বদ্ধপরিকর। শেষ পর্যন্ত গ্যাশার্দ কি পারবে লুপাঁকে ধরতে? নাকি বরাবরের মতো লুপাঁ সকলের চোখের সামনে দিয়েই মুকুটটা চুরি করে নিয়ে যাবে? ✅ দ্য হলো নিডল এক রাতে চুরি করে পালানোর সময় এক চোরকে গুলি করেন মাদামোয়াজেল রেমন্ড। কিন্তু গুলি খাওয়ার পরেই চোরটা যেন ভোজবাজির মতো লাপাত্তা হয়ে যায়। এমনকি পুলিশ পুরো এলাকা চিরুনি তল্লাশী করেও সেই চোরের হদিস পায়নি। এদিকে দৃশ্যপটে আগমন ঘটে স্কুল পড়ুয়া এক ছোকরার। নাম ইসিদর বউট্রালেট, যাকে তার স্কুলের ছেলেরা হোমলক শেয়ার্সের সাথে তুলনায় করে। সে এসেই ঘোষণা করে চোরটা আর্সেন লুপাঁ। আর্সেন লুপাঁর একের পর এক পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়ে ইসিদর হয়ে উঠে গোটা ফ্রান্সের আলোচিত মুখ। এদিকে ঘটনাক্রমে একটা কাগজ চলে আসে ইসিদরের হাতে, যেখানে লেখা আছে হলো নিডল রহস্যের সংকেত। হলো নিডলের সাথে লুপাঁর কী সম্পর্ক? ইসিদরের এতদিনের তদন্ত কী ভুল ছিল তাহলে? ইসিদর কি পারবে হলো নিডলের সংকেত উদ্ধার করে লুপাঁর সন্ধান পেতে? সবকিছু ছাপিয়ে এ গল্পে যে এক নতুন লুপাঁকে আবিষ্কার করবে পাঠক, সাথে আবারও নতুন করে লুপার প্রেমে পড়বে-- একথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়।