১৯১২ সাল… ড্রাকুলাকে শেষ করার পর পঁচিশ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু কেউই শান্তিতে নেই... মিনার বয়স কেন যেন আর বাড়ে না, আগের মতোই যুবতী রয়ে গেছে সে, ওর স্বপ্নে মাঝে মাঝেই আসে ড্রাকুলা। অত্যাধিক মদ্যপান করে জোনাথন, সাংসারিক অবস্থাও খুব একটা ভালো নেই ওদের। ডা. সেওয়ার্ড মরফিনে আসক্ত, লুসিকে ভুলতে পারেনি সে। অজ্ঞাত এক ব্যক্তির সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয় ওর। এলিজাবেথ বাথোরি নামে একজনের পিছু নিলো সেওয়ার্ড, ওর দৃঢ় বিশ্বাস যে এই মহিলা একজন ভ্যাম্পায়ার। আর্থার হোমউডও লুসিকে ভুলতে পারেনি, স্ত্রীর সাথে একপ্রকার শীতল সম্পর্ক ওর। পুচকে কুইন্সি হারকার বড় হয়েছে। ওর খুব ইচ্ছা ছিলো অভিনেতা হবে, কিন্তু জোনাথন জোর করে ওকে ফ্রান্সে ওকালতি পড়তে পাঠায়। সেখানে কুইন্সির পরিচয় হয় বিখ্যাত রোমানিয় অভিনেতা বাসারাবের সাথে। প্যারিসে ঘটতে লাগলো ভয়ংকর সব হত্যাকাণ্ড… পঁচিশ বছর পর সেই কুখ্যাত খুনি জ্যাক দ্য রিপার কি আবার ফিরে এসেছে? উঠে-পড়ে লাগলো কটফোর্ড… পঁচিশ বছর আগে রিপারের পিছু নিয়েছিলো সে, কিন্তু ধরতে পারেনি! এবার বদনাম গোচানোর পালা ওর… অনেক বুড়ো হয়ে গেছেন প্রফেসর ভ্যান হেলসিং। কিন্তু তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস যে ড্রাকুলা ফিরে এসেছে… ইংল্যান্ডে এলেন তিনি… কিন্তু কোথায় ড্রাকুলা? ওর কোনো খোঁজ নেই কেন? ও কি আসলেই বেঁচে আছে? ব্রাম স্টোকারের ‘ড্রাকুলা’র অনেক সিক্যুয়েল লেখা হয়েছে, কিন্তু অফিশিয়াল সিক্যুয়েলের মর্যাদা পেয়েছে এই একটি বই-ই। ব্রাম স্টোকারের উত্তর পুরুষ(ভাইপোর নাতি) ডেকর স্টোকার এবং ইয়ান হল্ট’র লেখা ‘ড্রাকুলা দি আন-ডেড’।