শুভাকাঙ্ক্ষা স্নেহভাজন ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ তৌছিফুর রহমান রচিত "ক্যান্সার সচেতনতায়ই মুক্তি" নামক-- ভীতিকর ও দুরারোগ্য ক্যান্সারের কারণ, বিভিন্ন ধরণ ও সহজে নিরাময়ের অসংখ্য পন্থা বিশ্লেষণ পূর্বক গ্রন্থটি বেশ আগ্রহভরে পড়লাম। দেশ এবং দশের ভাবনা ভাবতে একজন সুচিকিৎসক ও লেখকের জন্য কোন সুনির্দিষ্ট মানচিত্র নেই! সীমাবদ্ধতা কোন চিকিৎসক বা লেখকের আদর্শ নয় বরং একজন মানবতাবাদী ডাক্তার ও লেখকের লক্ষ্য সকল সংকীর্ণতাকে জয় করা। সংবেদনশীল ভাবনায় বেশ দক্ষতার সাথে ভয়ংকর ক্যান্সারের খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন,এমনকি সহজে নিরাময়ের বিভিন্ন পদ্ধতি তুলে ধরেছেন বলে আমার বিশ্বাস। অত্র ক্যান্সার সচেতনতা বিষয়ক গ্রন্থটিতে আমাদের সমাজে বিদ্যমান দুরারোগ্য ক্যান্সার সমস্যার গভীরে প্রবেশ করা হয়েছে, যা লেখকের বুদ্ধিদীপ্ত বিশ্লেষণের স্বাক্ষর বহন করে। একজন স্রষ্টার সৃষ্টিকে মূল্যায়ন করে দর্শক। মূল্যায়ন করে একজন সমাজ সচেতন পাঠক। সুতরাং শিল্পের সৃষ্টিতে একজন বিকশিত শিল্পীর যেমন যত্নশীল ভূমিকার প্রয়োজন,যথার্থ মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও তেমনি আবশ্যক কিছু সচেতন পাঠকের অনবদ্য স্বীকৃতি। "ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ তৌছিফুর রহমান" একজন উদীয়মান ক্যান্সার বিষয়ক লেখক। তাঁর বিশ্লেষণ ধর্মী লেখার বিষয়বস্তু নির্বাচন সত্যি প্রশংসার দাবীদার। বিভিন্ন সংবাদ পত্রে ক্যান্সার নিরাময়ের অভিপ্রায়ে কলাম লেখা,টিভি চ্যানেলে ক্যান্সার বিষয়ক উপস্থাপনা এবং দেশ-বিদেশে বিভিন্ন ক্যান্সার বিষয়ক সেমিনারে অংশগ্রহণ করায়,পেশায় একজন ডাক্তার হয়েও তাঁর লেখায় প্রাঞ্জলতা আছে,আছে প্রাণবন্ত সহজ বোধগম্যতা। সম্ভাবনাময় মানবিক লেখক ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাঃ মোঃ তৌছিফুর রহমানের সুদীর্ঘ ও সফল লেখক জীবন আমার একান্ত কাম্য! লেখনীতে তাঁর গ্রন্থচর্চা সফল হোক!! অধ্যাপক ডঃ আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক সাবেক উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।