এন্ডে্রানিয়ো, ক্রিয়া নামক গ্রহের সবচেয়ে নামকরা শেফ। তাদের গ্রহের প্রধান, ‘এস্ট্রোমোনার্ক প্রাইম’ সম্মানিত পাপোনিত্রো একবার ছদ্মবেশে পৃথিবীতে এসেছিল। সেই সফরে সে পিৎজা খেয়েছিল। ক্রিয়া গ্রহে পিৎজার রেসিপি অজানা। পাপোনিত্রোর এতো ভাল লেগেছিল এই খাবার যে সে এন্ড্রোনিয়োকে পৃথিবীতে পাঠায় রেসিপি শিখে আসতে। ক্রিয়া পৃথিবী থেকে অনেক অনেক আলোকবর্ষ দূরের একটা গ্রহ। সেখান থেকে এন্ড্রোনিয়ো আর তার রোবট বিড়াল ই. সি. বিল্লি টেলিপোর্ট করে পৃথিবীতে আসল। তারা টেলিপোর্ট করে হাওয়াই মিঠাই বানানোর যন্ত্রের ভিতর দিয়ে, সেটার ঘূর্নন শক্তিকে কাজে লাগিয়ে। সেই সময় হাওয়াই মিঠাই বানাচ্ছিল বাংলাদেশের ফরিদপুরের হেমন্ত মেলার এক দোকানদার, তারা তাই সেখানেই এসে পৌঁছায়। আর সেখানে তাদের পরিচয় হয় আদি আর অরণ্যের সাথে। অরণ্য সেদিনই লন্ডন থেকে মামাবাড়ি এসে পৌঁছেছে। তারা একসাথে এন্ড্রোনিয়োকে নিয়ে ঢাকা আসে, কোন পিৎজাটা পাপোনিত্রো খেয়েছিল তা খুঁজে বের করতে। কিন্তু এরমাঝে ঘটে আরেক বিপদ। পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গায় আলোর ঝলকানি দেখা যায় প্রায়ই। খবরের চ্যানেলগুলো সরব হয়ে যায়, এলিয়েনের কাজ নাকি এটা? বাংলাদেশেও একদিন আকাশে সেই আলো দেখা যায়, এন্ড্রোনিয়ো চিনতে পারে এই আলো। ক্রিয়াতেও এই আলো দেখা গিয়েছিল। এটার মানে দুর্ধর্ষ এলিয়েন জাতি বগাটু পৃথিবী থেকে তথ্য নিচ্ছে, এক সপ্তাহ পর তারা আক্রমণ করবে। হলিউডের সিনেমার মত এই আক্রমণ আমেরিকায় নয়, হবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশে। ক্রিয়াকে বাঁচিয়েছিল এন্ড্রোনিয়ো, ঘটনাচক্রে সে এবার পৃথিবীতে। এন্ড্রোনিয়ো আর তার বন্ধুরা কি পারবে আমাদের দেশটাকে বাঁচাতে?