যখন আপনি অসম্ভবকে বাদ দেবেন, তখন যা কিছু অবশিষ্ট থাকে। তা যত অবিশ্বাস্যই হোক না কেন, সত্য হবেই— শার্লক হোমস সুডোকু, একটি মজার চ্যালেঞ্জিং ধাঁধা, যা বিশ্বজুড়ে মানুষকে আকর্ষণ করে। আমার সঙ্গে সুডোকুর পরিচয় ২০০৭-০৮ সালের দিকে। দৈনিক প্রথম আলোতে একটি সুডোকু প্রতিযোগিতায় মোবাইলফোনের মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে সমাধান মিলিয়ে মেসেজ পাঠাতাম। এরপরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির হলে সুডোকু চর্চার অনেক সুযোগ পাই। মনে পড়ে, ২০০৯ সালের ২৫ এপ্রিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ২০২৪ নাম্বার রুমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সুডোকু ক্লাব থেকে সুডোকু প্রতিযোগিতা আয়োজন করেছিলাম। আমরা প্রয়াত জাতীয় অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী স্যারের কথা জানি, তিনি প্রতিদিন সুডোকু মেলাতেন। তিনি আমাদের সুডোকু সম্পর্কে আরও জানতে উৎসাহিত করেছিলেন। সুডোকু শুধু একটি ধাঁধা নয়, এটি একটি মস্তিষ্কের ব্যায়াম। সুডোকু সমাধান করলে মস্তিষ্কের সৃজনশীলতা, যুক্তি-বিশ্লেষণ ক্ষমতা, মনোযোগ ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। সুডোকু জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুনির হাসানের অবদান উল্লেখযোগ্য। তিনি সুডোকু নিয়ে বই লিখেছেন ও সুডোকু প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন। প্রতিদিন সুডোক ১ বইটি সুডোকু নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা থেকে লেখা। এই বইতে জে. ভারমাসেরেনের দ্য ডিফিকাল্ট সুডোকু বুক থেকে নানা কৌশল অনুসরণ করেছি। এছাড়াও সুডোকু বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপের বিভিন্ন নমুনা সুডোকু ব্যবহার করেছি। আশা করছি বইটি সুডোকু শেখার জন্য সহায়ক হাতিয়ার হবে। এই বইতে নানাভাবে প্রচলিত সুডোকু মেলানোর বিভিন্ন নিয়ম ও কৌশল সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
জাহিদ হোসাইন খান বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কমিউনিকেশন ডিজঅর্ডারস বিভাগে এমফিল প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত। বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ২০০৮ সালে দেশের গণিত ও বিজ্ঞান আন্দোলনে জড়িত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে পড়াশোনা শেষ করে সাংবাদিকতা ও গবেষণায় যুক্ত হন। ২০১৬ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের আমন্ত্রণে ওকলাহোমা বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রশিক্ষণের জন্য নির্বাচিত হন। নিয়মিত একটি জাতীয় দৈনিকে লেখালেখির পাশাপাশি গণমাধ্যমে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সাংবাদিকতার চর্চা করছেন।