'জলকুয়াশা' নোলক প্রকাশন থেকে প্রকাশিত কৃত্তিমান লেখক সাকিব উল্লাহ সোহাগের তৃতীয় রহস্যময় ভৌতিক উপন্যাস। বহুমাত্রিক লেখক সাকিব উল্লাহ সোহাগ সাহিত্যের প্রায় সকল শাখায়ই তাঁর অবাধ বিচরণ রয়েছে। তবে এই রহস্যময় উপন্যাসগুলো তাঁর পরিচিতি আরো দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাঁর লেখা রহস্যময় ভৌতিক উপন্যাস পড়লে যে কারো গা ছমছম করে উঠবে। এটা তাঁর লেখনীর প্রথম এবং প্রধান কৃতিত্ব। সাথে যুক্ত হয়েছে সহজ সরল বাচনভঙ্গি যা তাকে আরো গ্রহণযোগ্যতা দিয়েছে। এর ফলে পাঠক যে স্তরেরই হোন না কেনো তিনি এর স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন। তাঁর এই ভৌতিক উপন্যাসের ঘটনা বর্ণনার স্টাইল পাঠকের হাত ধরে বিরামহীনভাবে সামনে নিয়ে যাবে। নিয়ে যাবে একদম শৈশবে যেখানে দাদি নানীদের কাছে ভূতের গল্প শুনে শিহরণ জাগত প্রতিটি কিশোর মনে। লেখক সাকিব উল্লাহ সোহাগ তাঁর এই জলকুয়াশার রহস্যময় ভৌতিক কাহিনি বর্ণনায় যথেষ্ট মুন্সিয়ানার পরিচয় দিয়েছেন। বিশেষ করে ডোবার ভেতর দুটো ভৌতিক লাশের অবাধ বিচরণ আবার সেই লাশের সাথে উপন্যাসের মূল চরিত্রের কথপোকথন যে কোনো পাঠককে হাত ধরে নিয়ে যাবে সাড়া জাগানো আইরিশ উপন্যাসের প্রধান খল চরিত্র 'ভ্যাম্পায়ার কাউন্ট ড্রাকুলার' কাছে। এই উপন্যাস পড়লে পাঠকের মনে হবে গল্পটি সত্য। এদিক দিয়ে সাকিব উল্লাহ সোহাগ এর স্বার্থক সৃষ্টি এই মিস্টেরিয়াস হরর উপন্যাস 'জলকুয়াশা'। তাঁর জলকুয়াশা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করবে। পাঠক নবীন প্রবীণ যিনিই হোন না কেন এই রহস্য উপন্যাসের মিষ্টি ফ্লেভারে আবিষ্ট হবেনই। গ্রন্থমেলার পাঠকদের প্রতি অনুরোধ পড়ে দেখুন এই উপন্যাস আশা করি নিরাশ হবেন না। লেখক সাকিব উল্লাহ সোহাগের কলম আরো শানিত হোক। তাঁর কলম থেকে বেরিয়ে আসুক ভ্যাম্পায়ার কাউন্ট ড্রাকুলার মতো কালজয়ী রহস্যময় ভৌতিক উপন্যাস এই কামনা রইল।