'মর্ত্যের অমানিশা' কবি শাহানাজ পারভীনের তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ। মর্ত্যের সকল কালো অন্ধকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের প্রতীক এই মর্ত্যের অমানিশা। কবি জীবনানন্দ দাশের 'অদ্ভুত আঁধার এক' কবিতার প্রতিধ্বনি শোনা যায় কবির কবিতায়। সবদিক বিবেচনা করলে কবির কবিতা দ্রোহের বার্তা বহণ করে। সে প্রতিবাদ যুদ্ধের বিরুদ্ধে, আগ্রাসনের বিরুদ্ধে, শিল্প সাহিত্য অধঃপতনের বিরুদ্ধে। কবির ভাষায় কবিতার হোক প্রচণ্ডরকম শক্তিশালী শব্দের উত্থান- যা যাবতীয় অনাচারকে পদদলিত করে লাগসই প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলবে। তাই নির্দ্বিধায় বলা যায় বাকবিন্যাসে শক্তিমান শব্দের এক লক্ষ্যভেদী তীরন্দাজ হলেন কবি শাহানাজ পারভীন। এতসব নিরাশার পরেও কবির আশাবাদী মন, তিনি কবিতায় স্বপ্ন দেখেন স্বপ্ন দেখান নতুন এক মনোহর পৃথিবীর। সুসুন্দর মাতৃভূমির। আর এটাই সব স্বপ্নবাজ কবির চাওয়া কবি শাহানাজ পারভীনও তার ব্যতিক্রম নন। কবির কবিতায় মানবতাবাদী ভাবনা সোচ্চার। যুদ্ধ বিরোধী ভাবনা ভূলুণ্ঠিত মানবতা আগ্রাসী পেশী শক্তির বিরুদ্ধে তাঁর কবিতা লক্ষ্যভেদী। সবকিছু ছাপিয়ে দেশপ্রেম তাঁর কবিতাকে আন্দোলিত করে। আধুনিক কবিতার যতগুলো অনুসঙ্গ আছে তার সবগুলোই তাঁর কবিতায় বিদ্যমান। কবি গদ্য ছন্দে লিখে থাকেন। আশাকরি কবিতার সাম্পান কবিকে বহুদূর নিয়ে যাবে। সমৃদ্ধ করবে বাংলা ভাষাকে। অমর একুশের গ্রন্থমেলা-২০২৪ এ তাঁর 'মর্ত্যের অমানিশা' কাব্যগ্রন্থটি পাঠক প্রিয়তা পাবে আশা করি। কবির জন্য শুভকামনা। মাহবুব খান কবি ও ঔপন্যাসিক প্রতিষ্ঠাতা মহাচসচিব অনুশীলন সাহিত্য পরিষদ।