পরিবারে হৃদ্যতা বঞ্চিত মেয়েটি বেড়ে ওঠে হোস্টেলে। উচ্চ শিক্ষার সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে হয় সখ্যতা। হঠাৎ সেই শিক্ষকের স্ত্রীর জীবননাশ! খুন নাকি আত্মহনন! স্ত্রী বিয়োগে শিক্ষক ভেঙে পড়লে মেয়েটি সহযোগিতা করে ঘুরে দাড়াতে। বিষণœতায় আচ্ছন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হয়ে ওঠে অনলাইনে জনপ্রিয়। গড়ে তোলে সামাজিক সংগঠন। অজানা কারণে বেড়ে যায় তার শত্রু, তাকে হত্যার জন্য বেশ কয়েকবার চেষ্টা করা হলে অবশেষে পাওয়া যায় তার ঝুলন্ত লাশ। ময়নাতদন্তে নেওয়ার পথে গুম হয়ে যায় লাশটি। এ নিয়ে সেই ছাত্রীর বিষণœতা ও বিড়ম্বনা হলে তিনি ঘুরতে যান বান্দরবানে। সেখানে তার পিছু নেয় গোয়েন্দা। বান্দরবানের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যে রোমাঞ্চিত হয়ে ফোটে প্রেমের ফুল। শুভ্র মেঘের রূপ বদল, অসীম আকাশের নীলাভ আভা যখন হৃদয়কে উদ্বেলিত করে তখন নারীর মন খোঁজে রাজকুমার, অন্তিম আশ্রয়। এদিকে সেই শিক্ষকের সংগঠন আরো জোরালো হয়, গড়ে তোলা হয় শহিদ মিনার। রহস্যঘেরা খুন নাকি আত্মহত্যা এই জট খুলতে খুলতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চুরি হয় বড়ো অঙ্কের রির্জাভ। অন্যদিকে মাষ্টার প্ল্যানের সিরিয়াল খুন নাকি বিছিন্ন নাশকতা? ধাঁধায় পড়ে গোয়েন্দারা। সব মিলিয়ে বেসামাল দেশীয় আইন পরিস্থিতি। পুলিশ আবিষ্কার করে প্রতিটি খুনের সাথে আছে একটি জিনিসের যোগসূত্রতা। সেই সূত্রে চৌকস অফিসারের তদন্ত ও অদৃশ্য শক্তির বিশেষ সহায়তায় খুলে যায় রহস্যের জট। গল্পের বাঁকে ফুটে ওঠে হৃদয়ঙ্গম ত্রিভুজ প্রেম সেই সাথে রোমহর্ষক খুনের আদ্যোপান্ত। সবমিলিয়ে নয়নাভিরাম প্রকৃতি, মিষ্টি প্রণয়, দ্রোহ, প্রাণনাশ, গুপ্তচরবৃত্তির এক অপরূপ সমন্বয় আছে রোমান্টিক-থ্রিলার ‘ব্ল্যাক রোজ’ গল্পে।
আশা করি আপনি ভালো আছেন। আমি খুবই আনন্দিত যে আপনি আমার সম্পর্কে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। শুরতেই আপনার মঙ্গল কামনা করে আমার সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরছি। আমার পুরো নাম মোশাররফ হোসেন নির্জন।বর্তমানে বাস করছি অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে। রোমান্টিক থ্রিলার ‘ডার্ক চকলেট’ গ্রন্থ লিখে আমি লেখক হিসেবে আত্ন-প্রকাশ করি।বইটি ঢাকা, সিডনি, লন্ডনে আনুষ্ঠানিক ভাবে মোড়ক উন্মোচণের সুযোগ লাভ করে। লেখালেখির অভ্যেস আছে স্কুলের গন্ডি থেকেই। প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে যাত্রা শুরু হয় দৈনিক ভোরের কাগজে সাংবাদিক হিসেবে। সাংবাদিকতায় আছে প্রায় পনেরো বছরের অভিজ্ঞতা।বর্তমানে কাজ করছি জনপ্রিয় গণমাধ্যম বাংলাভিশন ও ঢাকাপোস্টে। তাছাড়া এবি নিউজ অস্ট্রেলিয়া, এবি নিউজ ইনন্টারন্যাশনালের (ইংরেজি গনমাধ্যম) চিফ রিপোর্টার হিসেবে নিয়োজিত আছি। সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে যুক্ত আছি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাবে। টিম লিডার (ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া)হিসেবে সঙ্গি হয়েছি এমএলসি ইন্টারন্যাশনালে। প্রতিষ্ঠাতা ও আহবায়ক হিসেবে কাজ করছি অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ কমিউনিটি ক্রিকেট নিয়ে।অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি রাজ্যে এই প্লাটফর্মটি কাজ করছে ক্রিকেটের উন্মাদনা বাড়াতে। সেই সাথে বেঙ্গল মিডিয়া অ্যাওয়ার্ড প্রোগামের প্রতিষ্ঠাতা ও কর্ণধার হিসেবে কাজ করছি। নিয়মিত অস্ট্রেলিয়ার খোজ খবর জানানো ও বিভিন্ন সমসাময়িক বিষয়ে লেখালেখি অব্যাহত রেখেছি।‘ক্যান্ডেল লাইট’ আমার দ্বিতীয় ও ‘ব্ল্যাক রোজ’ তৃতীয় উপন্যাস। প্রকাশের অপেক্ষামান আছে আরো বেশ কয়েকটি থ্রিলার উপন্যাস। দেশীয় গনমাধ্যম: আনন্দদিন, আমাদের অর্থনীতি, খাসখবর, বাংলানিউজ টোয়েন্টি ফোর ও ডিবিসি টেলিভিনে কাজ করেছি অতিতের দিনগুলোতে। ব্যক্তিগত আমি জীবনে বিবাহিত। আমার সহধর্মনীও সাংবাদিক হিসেবে কাজ করছে দেশীয় সংবাদ ভিত্তিক টেলিভিশন ডিবিসিতে। আমি ব্রাক্ষণবাড়ীয়ার তিতাস বিধৌত আখাউড়ায় জন্মগ্রহণ করি। রেলওয়ে স্কুল, ভিক্টোরিয়া কলেজ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অধ্যায়ন করে পাড়ি জমাই সুদূর অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে ইডিথ কাওয়ান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করি।হিসাব বিজ্ঞান ও সাংবাদিকতায় উচ্চতর শিক্ষাসহ ঝুলিতে আছে বেশকিছু প্রফেশনাল কোর্স। পেশাগত জীবনে সাংবাদিকতা ছাড়াও পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার রাজ্যভবনে ক্রয় কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত আছি। তাছাড়াও আত্মপ্রকাশ করেছি উদ্যোক্তা হিসেবেও। বিনিয়োগ করেছি নিজ দেশে। ফ্যাশন হাউস, সুপারশপসহ আরো কিছু প্রতিষ্ঠানে বাংলাদেশিদের কর্মসংস্থানের জন্য হাত বাড়িয়েছি। অবসরে বই পড়া, লেখালেখি করতে ভীষণ পছন্দ করি। সুযোগ পেলেই বের হই ভ্রমণে; গড়ে তুলি প্রকৃতির সঙ্গে সখ্য, আর সেখান থেকে রসদ যোগায় লেখালেখির।