আমার সাধ্যের সাথে সাধনা মিলিয়ে চেষ্টা করেছি কিছু লিখতে। যদি আপনাদের ভালো লাগে খুশি হব। শৈশব কৈশোর থেকে একটু একটু লেখা শুরু। দেয়াল পত্রিকা, স্কুল-কলেজের ম্যাগাজিন আর কিছু পত্রিকাতে কবিতা প্রকাশিত হয়েছে। শাহীন স্কুলের বার্ষিক ম্যাগাজিনের সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি ১৯৮২ সালে। আমি তখন একাদশ ক্লাসের ছাত্র। প্রথম কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয় ‘বিধ্বস্ত সন্ধ্যা’ ১৯৮৬ সালে। বইমেলায় সেই সময়ের স্মৃতি জীবনের সোনালি অতীত। প্রথম জাতীয় কবিতা উৎসবে টিএসসি’র চত্বরে নিজের কবিতা পাঠ করা এক অনাবিল অনুভূতি। বেশি কবিতা লেখা হয়েছিল কলেজ আর অর্থনীতিতে অনার্স পড়ার সময়। অনেক গানও লিখেছিলাম তখন। ফ্লাইং ক্লাবে প্রশিক্ষণের সময় আকাশে ওড়া আর কবিতা লেখার এক মিলন ক্ষণ ছিল। সে স্মৃতি আজও হৃদয়ের আয়নায় বার বার ভেসে ওঠে। আমি পুলকিত হই। ইতিমধ্যে বেশি ব্যস্ত হয়ে যাই সেবামূলক আর সামাজিক সংগঠন লিও ক্লাবের সদস্য হিসেবে। সেবার মাধ্যমে নেতৃত্ব। অনেক বন্ধুর মাঝে হারিয়ে যাই। ঢাকা বি এফ শাহীন স্কুল, কলেজের আর লিও ক্লাবের বন্ধুরা জীবনের সেরা বন্ধু। মনে হতো ওরাই যেন আমার আত্মা। বাসায় ভাই-বোন আর বাবা-মায়ের আদর আর স্নেহে বেড়ে উঠি। আত্মীয়-স্বজনের ভালোবাসার কমতি ছিল না। লিও উরংঃৎরপঃ চৎবংরফবহঃ হিসাবে ১৯৮৮-তে ৭২তম খরড়হং ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়হাবহঃরড়হ-এ উবহাবৎ ঈড়ষড়ৎধফড় আমেরিকা আসি প্রথম। তারপরও কয়েকবার ঘুরতে আসা হয় এই আমেরিকাতে। অবশেষে ১৯৯৩ সালে ঘবি ণড়ৎশ-এ বসবাস। অনেক বছর পরে অঃষধহঃধ-তে চলে আসি, যারা আমাকে ভালোবাসে তারা সবাই আমার প্রেরণা আর আমার শব্দের প্রতিধ্বনি। কবিতা লিখলে হয়তো কবি হওয়া কঠিন কিন্তু বন্ধু আর আপনাদের স্মৃতিতে বেঁচে থাকা যায়। মনে রেখো বন্ধুরা, আমার এই খুদ্র প্রয়াস। পরিশেষে প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘মহাকাল’-এর প্রকাশক মনিরুজ্জামান ভাইকে অন্তর থেকে ধন্যবাদ জানাই আমার কবিতার বইটি প্রকাশের জন্য। অনেক বছর পরে ‘সমুদ্র ফেরত নদী’ আমার দ্বিতীয় কবিতার বই।