‘সবচেয়ে সুন্দর হাত এখনো ধরা হয়নি—এবং সবচেয়ে সুন্দর জীবন এখনো যাপন করা হয়নি’—আমরা অনেকেই সব চেয়ে সুন্দর জীবনটি এখনো যাপন করতে পারিনি। কিভাবে সেরকম একটি উন্নত জীবন ও প্রশান্ত মন পাওয়া যাবে তা নিয়ে মূল্যবান তত্ত্ব ও তথ্য বইটিতে বিবৃত করা হয়েছে। বিভিন্ন ধরনের অসুস্থতা, ব্যর্থতা, দুঃখ কষ্ট ভোগ জীবনের রূঢ় বাস্তবতা। এসব রূঢ় বাস্তব সত্যকে মানিয়ে নিয়ে সমজোতা করে স্বস্তির সঙ্গে জীবন যাপন কীভাবে করা যায় সেসব নিয়ে রয়েছে পর্যাপ্ত তথ্য। সামান্য থেকেই আমাদের অসামান্য হয়ে উঠতে হবে, তবে নক্ষত্র সমান সফলতা কোন এককালীন ঘটনার ফলাফল নয়, বরং বহু বছরের ছোট ছোট শ্রম ও কষ্টের ফলাফল। এজন্য কেবল কাজের পরিকল্পনায় (মোশনে) লিপ্ত থাকলেই হবে না সেটি বাস্তবে রূপ দিতে হবে (একশনে)। তাৎক্ষণিক তৃপ্তির লোভ, যেমন—অবাধ যৌনতা, ধূমপান, মজাদার খাবারের লোভ যদি সংবরণ না করি, তাহলে বিলম্বিত মধুর প্রতিদান পাবো না। যখন পথ চলতে ‘পিছলে’ পড়বো তখনই দ্রুত উঠে দাঁড়াতে হবে। তবে কখনো পিছনে হাঁটা যাবে না বা প্রক্রিয়া বন্ধ করা যাবে না। সব শেষে জীবনের অনিবার্য সত্য ও বাস্তবতা মৃত্যুকে ভয় না করে, কিভাবে এর সঙ্গে বোঝা—পড়া করা যাবে: কিভাবে ‘অমরত্বের প্রোজেক্ট’ তৈরি হয়; উত্তম মৃত্যু কি; মৃত্যুর জন্য কিভাবে প্রস্তুত থাকতে হবে—ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা রয়েছে। সবশেষে মাইন্ডফুলনেস মেডিটেশন’ নিয়েও সংক্ষিপ্ত আলোচনা রয়েছে। বইটি সকল বয়সের, শ্রেণীর মানুষের উন্নত জীবনের গাইড লাইন হিসেবে ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি। প্রতিটি পরিবারে, সংগঠনে এ বইটি পঠিত হলে, আলোচনা হলে ব্যক্তি, পরিবার, সমাজের মধ্যে গুণগত পরিবর্তন আসবে বলে প্রত্যাশা করা যায়। আশাকরি বইটি ঘরে ঘরে প্রতি পরিবারেও লাইব্রেরিতে স্থান করে নিবে।
অধ্যাপক ডা. মােঃ তাজুল ইসলাম একজন সাইকিয়াট্রিস্ট (মনােরােগ বিশেষজ্ঞ)। জন্ম : চাঁদপুর জেলার মতলব থানাধীন পশ্চিম বাইশপুর (বালুচর)। গ্রামে। পিতা : দেওয়ান আবদুল খালেক। তিনি মতলবগঞ্জ হাইস্কুল থেকে এসএসসি, ঢাকা কলেজ থেকে এইচএসসি এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাশ করেন। ১৯৯২ সালে সাইকিয়াট্রিতে উচ্চতর এফসিপিএস ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, মিটফোর্ড হাসপাতালে কর্মরত ছিলেন। বর্তমানে তিনি অধ্যাপক হিসেবে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে কর্মরত রয়েছেন। মানসিক রােগের চিকিৎসা বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণের জন্য হু-এর ফেলােশিপ অর্জন করেন ব্যাংকক, থাইল্যান্ড থেকে। পরবর্তী সময় আরাে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন। জাইকা ফেলােশিপ পান জাপান থেকে। মনােসামাজিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক ও স্বাস্থ্য সাময়িকীগুলােতে যেসব মনোেরাগ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারগণ লিখে আসছেন, তিনি তাদের মধ্যে প্রথম সারির একজন। তার মনের সুখ মনের অসুখ ও ‘মানসিক সমস্যা : ধরন কারণ ও প্রতিকার’ ‘শিশুবিকাশ-১, ২, ৩’, ‘টিন-এজ মন : সমস্যা ও সমাধান, ‘উদ্বেগ-টেনশন : মনােবৈজ্ঞানিক সমাধান, ব্যক্তিত্ব ও আত্মমর্যাদাবােধ : সবল ও মজবুত করার মনােবৈজ্ঞানিক কৌশল” শিরােনামের মনােবিজ্ঞানের বইগুলাে ইতােমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে। ডাক্তার ও মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের জন্য একটি ইংরেজি ম্যানুয়েলও তিনি প্রকাশ করেছেন। এছাড়াও তার অনেক মৌলিক গবেষণা-কর্ম রয়েছে। এখনাে লেখালেখি ও গবেষণা কর্মে নিজেকে নিয়ােজিত রেখেছেন। তিনি এক ছেলে ও এক কন্যা সন্তানের জনক।