মুসলিমদের ইতিহাসে নবীজির (সঃ) মৃত্যুর চেয়ে বড় দুর্যোগ আর কিছু হতে পারে না। যিনি আলো হাতে আমাদেরকে অন্ধকারে পথ দেখাতেন, তিনিই যখন চলে গেলেন, তখন আমাদের পথভ্রান্ত হওয়া থেকে রক্ষা করবেন কে? আল্লাহ তারপরেও আমাদের দিকভ্রান্ত হতে দেননি। কাজেই, আমাদের জীবনে যত দুর্যোগই আসুক না কেন, আশাহত হবার কিছু নেই। সবকিছুর নিয়ন্ত্রকের উপর ভরসা রাখলে তিনিই সব ঠিক করে দিবেন। রাসূলাল্লাহ (সঃ) একদা বলেছিলেন, "আমি যদি আমার ভ্রাতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ পেতাম!" সাহাবীগণ মর্মাহত হন। তাঁরা জিজ্ঞেস করেন, "আমরা কী আপনার ভাই নই?" নবীজি (সঃ) বলেন, "তোমরা আমার সাহাবী। কিন্তু আমার ভাই তাঁরা হবে, যারা আমাকে না দেখেও আমার উপর বিশ্বাস করবে।" (মুসনাদ আহমদ ১২১৬৯) আমরা কি আশা করতে পারি যে, আমরা রাসূলুল্লাহর ভ্রাতৃবৃন্দ? আমরা কি বাস্তবেই নবীজিকে বিশ্বাস করি? মেনে চলি? ভালবাসি? এই প্রশ্নগুলো আমাদের নিজেদের করতে হবে। কেবল নামে মুসলিম হলেই আমরা উম্মতে মুহাম্মদী হবো না, আমরা কি বাস্তবেই তাঁকে চিনি? তাঁকে জানি? আজ বিশ্বজুড়ে আমাদেরই কুকর্মের কারণে তাঁর নাম বদনাম হচ্ছে। আমরা কি লজ্জিত? আমরা কি অনুতপ্ত? আফসোস তাদের জন্য, যারা তাঁর উম্মত হয়েও তাঁকে চিনলো না, জানলো না, উল্টো তাঁর বিরোধিতা করলো। আমি নিশ্চিত, একবার কেউ তাঁকে জানলে, চিনতে পারলে, তাঁকে ঘৃণা করতে পারবে না। মহান আল্লাহ তায়ালার দরবারে অশেষ শুকরিয়া, তিনি আমাদের উম্মতে মুহাম্মদী হিসেবে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন! তিনি যেন আমাদের সাহায্য করেন যাতে আমরা রাসূলের(সঃ) দেখানো পথে চলতে পারি। তাঁর সন্তুষ্টি লাভ করতে পারি। হে আল্লাহ, আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি, তোমার রাসূল তোমার বাণী আমাদের কাছে ঠিকমতন পৌঁছে দিতে পেরেছেন। আমরা সাক্ষ্য দিচ্ছি তিনি তাঁর দায়িত্বে সফল হয়েছেন।