আজকাল যারা আহলে কুরআন, মূলত তারা মুনকিরিনে কুরআন। আসলে তারা কুরআন অস্বীকারকারী। কুরআনের ‘কাফ’ও বোঝে না। সন্দেহ থাকলে পরীক্ষা করে নিন। কয়েকটি কমন প্রশ্ন করুন। ১. কুরআন মানে বার বার পাঠ করা। কুরআন মানে অধিক পঠিত। যেকোনো অধিক পঠিত কিতাবকে কি কুরআন বলা যাবে? না হলে কেন নয়? ২. কুরআন নাজিল হয়েছে নবিজির ওপর। লিখিত আকারে মলাটবন্দি হয়েছে আবু বকরের যুগে। কীভাবে নিশ্চিত হচ্ছেন–সব আয়াতই লিখিত কুরআনে সন্নিবেশিত করা হয়েছে? ৩. আপনার সামনে কুরআনের যে কপিটি আছে, হার্ড অথবা সফট কপি, আল্লাহপাকের কাছ থেকে নবিজির কাছে হুবহু এই কুরআনই নাজিল হয়েছিল, আপনার কাছে প্রমাণ কী? ৪. মানুষের মুখনিঃসৃত আওয়াজকে ‘কথা’ বলা হয়। হাদিস মানে তো নবির কথা। কুরআনও তো তা-ই। নবি তাঁর জবান মুবারক দিয়ে উচ্চারণ করেছেন আর বলেছেন ‘কথাগুলো আল্লাহর’। আপনি যেহেতু হাদিস; মানে নবির কথায় বিশ্বাস করবেন না, তাহলে নবি যেটাকে কুরআন বলে প্রচার করলেন, সে কথায় বিশ্বাস করছেন কীভাবে? ৫. কুরআনের কিছু আয়াত আছে নাসিখ, কিছু আছে মানসুখ। ব্যাপারটি আমরা কুরআনের আয়াত থেকেই জেনেছি। জানবার বিষয় হলো, কোন কোন আয়াত মানসুখ হয়েছে, সেটা আপনি জানবেন কীভাবে? প্রশ্নগুলোর জবাব সরাসরি কুরআন থেকে দিতে বলুন। তারপর দেখুন তারা উত্তর দিতে পারে কি না। সত্যিই তারা পারবে না। গ্রন্থটি মূলত এদের নিয়েই রচিত।
এই প্রজন্মের শক্তিমান লেখক রশীদ জামীল। যাঁকে তরুণ লেখকদের আইডলও বলা যায়। তরুণদের অনেকেই যাঁর লেখার স্টাইল ফলো করেন। রশীদ জামীল লেখালিখি করছেন ১৯৯৬ খ্রিষ্টাব্দ থেকে। দেশবিদেশের পত্রিকা-জার্নালে লিখেছেন কয়েকশত প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও কলাম। ঘুরেছেন মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকাসহ অনেক দেশ। কঠিন কথা সহজ ভাষায় লিখতে পারা কঠিন একটা কাজ। কিন্তু এই কঠিন কাজটা রশীদ জামীল সহজভাবে করে থাকেন। হুমুল্লাজিনা, ইলাইহিল ওয়াসিলা, জ্ঞান বিজ্ঞান অজ্ঞান, আহাফি, মমাতি, কাচের দেয়াল, বিরাট ওয়াজ মাহফিল, পাগলের মাথা খারাপ, সেদিনও বসন্ত ছিল, মুমিনের নামাজ, সুখের মতো কান্না, একটি স্বপ্নভেজা সন্ধ্যাসহ পঞ্চাশের কাছাকাছি পাঠকপ্রিয় গ্রন্থের রচয়িতা এই লেখক ২০০৮ খ্রিষ্টাব্দে বাংলাদেশের শ্রেষ্ঠ তরুণ কলামিস্ট হিসেবে জাতীয় পর্যায়ে স্বর্ণপদক লাভ করেন। দীর্ঘ দুই দশক ধরে কাছে থেকে দেখা এই লেখকের একটা বৈশিষ্ট্য হলো, তিনি যা ভাবেন এবং বিশ্বাস করেন, তা-ই অকপটে লিখে ফেলেন। এতে কেউ খুশি হয় কেউ করে গালিগালাজ। তখন তিনি তাঁর অন্যতম আরেকটা বৈশিষ্ট্যকে কাজে লাগান। সেটি হলো তিরষ্কার ও তোষামোদ দুটোকেই পাশ কাটিয়ে চলা।