ঢাকা শহর যেন যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছে, বিশেষ আইনকে কেন্দ্র করে ফুঁসে উঠেছে পুরো দেশ, জ্বলছে পথ ঘাট। গণভবনের কেন্দ্রে বসে কী কলকাঠি নাড়ছে আসগর মাহতাব? একের পর এক কিশোরী নিখোঁজ হচ্ছে উত্তাল রাজনীতির মধ্যেই। কেন করা হচ্ছে অপহরণ, কেউ জানে না। তবু হাল ছাড়ে না সোহেল আরমান। অনেকদিন পর দেশের মাটিতে ফিরে কাকে খুঁজছে আইরিন? প্রতিশোধের আগুন কি নিভাতে পেরেছে সে? সেই সুদূর ইয়েমেন থেকে আসা ইফ্রিতদের অবস্থাই বা কী? শান্তি কি পেয়েছে তারা? নাকি যুদ্ধের ডামাডোল আবার বেজে উঠেছে তাদের মধ্যে? কুমিল্লার সেই হাবিব, কী করছে সে ইদানীং? কিংবা সেই কুইলি? আর বিশেষ ক্ষমতার সেই হাবিবা? এই টালমাটাল দেশের পরিস্থিতিতে তাদের অবস্থাই বা কী? হাবিবার পেছনে কেন লেগেছে একদল ভাড়াটে সন্ত্রাসী? গণভবনে প্রবেশ করতে না পারা মৃত্যুঞ্জয় সমাদ্দার এখন কী করবে? তার সামনে কি কোন উপায় খোলা আছে? কবিরাজ আর জাদুকরদের পোস্টারে ছেয়ে গেছে ঢাকার প্রতিটি দেয়াল। এর মাঝেই উত্তাল পরিস্থিতি, দেশের সামাজিক অবস্থাও ভঙ্গুর। এমন সময় কী করতে পারে ইরফান? কে আছে এসবের পেছনে? খুঁজতে খুঁজতে সে হাজির হল সেই শুভপুরে। যেখান থেকে শুরু হয়েছিল সবকিছু। এরপর? সব কি শেষ হয়েছিল? নাকি শেষের শুরু? বিষণ্ণ প্রহরেই খুঁজতে হবে এর উত্তর।
জাবেদ রাসিনের জন্ম ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায়, তবে বেড়ে উঠেছেন ঢাকায়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতোকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। তার প্রকাশিত প্রথম উপন্যাস "ব্ল্যাকগেটত্ত প্রথম কাব্যগ্রন্থ "শূন্য পথের আপেক্ষায়"। ইতোমধ্যে প্রকাশিত 'ব্যাকক্সিট", "সার্কেল" ও "ডগমা", তিনটি জনপ্রিয় স্পাই থ্রিলার যা "সার্কেল ট্রিলোজি" নামে পাঠক মহলে প্রশংসিত হয়েছে। তবে "তমিসা ভুবন" নামে সিরিজটি তাকে পাঠকের কাছে আলাদা পরিচিতি এনে দিয়েছে। এই সিরিজের বই "তমিস্রা", "অসূয়া" ও "বিস্তৃত আঁধার" এর মধ্যেই প্রকাশিত হয়ে পাঠক সমাদৃত হয়েছে। এ ছাড়াও বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী "সময়ের সিঁড়ি বেয়ে একটি বুলেট" ও রোমান্টিক উপন্যাস "চন্দ্রাহত"ও প্রকাশিত হয়ে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে।