সেদিন একাত্তর গল্পের কিছু অংশ... ‘জয় বাংলা, স্বাধীন করো, স্বাধীন করো, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।’ ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ মুজিব ভাই আমাদের মাঝে এসে গেছেন, উপস্থিত ছাত্র—কৃষক—শ্রমিক—জনতা আমরা তাকে সেস্নাগান দিয়ে অভিবাদন জানাই। —‘শেখ মুজিবের পথ ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ —‘মুজিব ভাইয়ের পথ ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ —‘বাঁশের লাঠি তৈরি করো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ —‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ আপনারা জোরে জোরে সেস্নাগান ধরেন, ‘আমার দেশ, তোমার দেশ—বাংলাদেশ, বাংলাদেশ।’ ‘স্বাধীন করো, স্বাধীন করো—বাংলাদেশ স্বাধীন করো।’ রেসকোর্সে যারা এসেছে সবার হাতে বৈঠা বা লাঠি—অনেক মহিলার হাতেও লাঠি। একদল গান গাইছে, ‘মরি হায় রে হায়, দুঃখের সীমা নাই/ সোনার বাংলা শ্মশান হইল পরান ফাইট্টা যায়।’ রেসকোর্সের মধ্য থেকে মাঝে মধ্যে সেস্নাগান উঠছে—‘জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু—তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা।’ আর সেই সেস্নাগান বজ্র হুংকারের মতো ছড়িয়ে পড়ছে চারদিক। জানো নানা ভাইরা—দাদারা, সারাদেশের মানুষ রেডিও খুলে বসে আছে বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শোনার জন্য। তারা অপেক্ষা করছেÑকী বলবেন বঙ্গবন্ধু আজ রেসকোর্স ময়দানে।
মঈন আহমেদ। ডাক নাম টিটো। বাবা- হাসান আলী। মা- মৃত. ফাতেমা বেগম। জন্ম ২৮শে জুন, যশোর জেলার তেঘরিয়া গ্রামে। শৈশব-কৈশর কেটেছে গ্রামের মেঠো পথে। লেখাপড়া- বাজেদূর্গাপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও নতুনহাট পাবলিক কলেজ থেকে এস.এস.সি ও এইচ.এস.সি এবং যশোর সরকারি এম.এম. কলেজ(সরকারি মাইকেল মধুসুধন কলেজ) থেকে ইংরেজিতে স্নাতক পাশ করেন। পেশা- একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ইংরেজি শিক্ষক। স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখি ভালোবাসেন। বিভিন্ন মাধ্যমে তার লেখা প্রকাশ হয়ে আসছে, তিনি ঘুমিয়ে থাকেন, ভাবেন কেউ একজন এসে ওনার ঘুম ভাঙাবে চুপিচুপি নীরবে। সত্যিই তিনার গল্পগুলি প্রতি রাতে এসে ঘুম ভেঙে দেই। তিনি কলম ধরেন এবং লিখতে শুরু করেন গোটা গোটা অক্ষরে। এভাবেই চলে ভোর থেকে রাত, রাত থেকে গভীর রাত। ভালোবাসা বই পড়া, গান গাওয়া, গান শোনা। মাঝ রাতে রাস্তায় নেমে এসে মায়াময় রুপালী জ্যোৎছনা দেখে। তার ভেতরের আবেগ জড়ানো লেখা “আজও তোমার নামে চোখে জল পড়ে” উপন্যাসটি পাঠক প্রিয়তা পাবে বলে আমি আশা করছি।