সমস্ত প্রশংসা মহান করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের জন্য যিনি স্বীয় অনুগ্রহে আমাদেরকে মুসলমান জাতির অন্তর্ভুক্ত করে এ নশ্বরধরায় প্রেরণ করেছেন। অসংখ্য দুরূদ ও সালাম জানাই মানবতার মুক্তির দূত আকায়ে নামদার সরদারে দোজাহান হযরত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর জন্য জীবন উৎসর্গকারী হযরত সাহাবায়ে কেরাম (রা)-এর পবিত্র আত্মার উপর। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন স্বীয় করুণা ও মেহেরবাণীর বদৌলতে আমাদেরকে নশ্বর জগতের শ্রেষ্ঠজাতি 'আশ্রাফুল মাখলুকাত' তথা মানবজাতি হিসেবে সৃষ্টি করেছেন। বিশেষত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের দলভুক্ত করে আমাদেরকে গৌরবান্বিত করেছেন। সারাবিশ্বের মুসলমানরা নামায, রোযা, হজ্জ, রোযা হজ্জ, যাকাতসমূহ সর্বপ্রকার ইবাদত- বন্দেগী করে একমাত্র মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যমে জাহান্নামের ভয়াবহ আজাব থেকে মুক্তি পেয়ে অফুরন্ত শান্তি নিকেতন জান্নাত লাভের আশায়। কিন্তু কেমন সেই জান্নাতের সুখ-শান্তি যা পাওয়ার জন্য প্রতিটি মুমিন নর-নারী সর্বদা ব্যাকুল। সেই জাহান্নামের আজাবই বা কিরূপ যার ভয়ে সকল ঈমানদার বান্দা-বান্দী ইবাদতে মশগুল। প্রতিটি মানুষের অন্তরে রযেছে তার বিশদ ব্যাখ্যা অবগত হওয়ার আকাঙ্ক্ষা। যাতে কুরআন-হাদীসের আলোকে সেই জান্নাত-জাহান্নাম সম্পর্কে কিছু কথা অবগত হয়ে ঈমান আমল সহীহ করে আল্লাহর আজাব থেকে মুক্তি পেয়ে চিরশান্তি জান্নাত পেয়ে আমরা ধন্য হতে পারি সে উদ্দেশ্যেই আমি অধম এ কিতাবখানা লেখার জন্য উদ্যত হলাম। কিন্তু সেই জান্নাত-জাহান্নামের বর্ণনা দেয়া তো কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। তদুপরি নাজাত পাওয়ার আশায় কুরআন হাদীসের আলোকে কিছু কথা আল্লাহ তা'আলার প্রিয় বান্দা ও দয়ার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মতের খেদমতে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করলাম। আশা করি যদি কোন পাঠক-পাঠিকা কিতাবখানা পড়ে সঠিকভাবে আমল করে আল্লাহর রহমতে জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে
তারিক জামিল (যিনি মাওলানা তারিক জামিল নামে অধিক পরিচিত, জন্ম: ১ অক্টোবর ১৯৫৩) একজন প্রভাবশালী পাকিস্তানি দেওবন্দি ইসলামি পণ্ডিত, দায়ী এবং তাবলিগ জামাতের সদস্য। ইসলাম প্রচারক হিসেবে তার সাধারণ জীবনযাত্রা এবং পাশাপাশি উর্দু ও আরবিতে সাবলীল বক্তৃতা তাকে মুসলিম বিশ্বজুড়ে খ্যাতি এনে দিয়েছে। মন্ত্রী, ব্যবসায়ী, অভিনেতা, খেলোয়াড় থেকে শুরু করে সকল স্তরের মানুষকে তিনি প্রভাবিত করতে সক্ষম হয়েছেন।[১] শিক্ষাজীবনে তিনি তাবলিগ জামাত দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে ডাক্তারি পড়াশোনা ছেড়ে নিজেকে ইসলাম শিক্ষায় নিয়োজিত করেছিলেন। ধর্ম প্রচারের পাশাপাশি সমাজসেবা ও শিক্ষায় অবদানের অংশ হিসেবে তিনি মাওলানা তারিক জামিল ফাউন্ডেশন, জামিয়া আল হুসায়নিয়া মাদ্রাসা ও মিম একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেছেন। ২০২১ সালে তিনি এমটিজে ব্র্যান্ড নামে একটি কাপড় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। জনপ্রিয় বক্তা হিসেবে তিনি সবসময় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী ৫০০ জন মুসলিম জরিপে শীর্ষ ৫০-এ অন্তর্ভুক্ত হন। তিনি দুইবার প্রাইড অব পারফরম্যান্স পুরস্কার জিতেছেন।