কথায় আছে, স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। আমাদের শরীরের যেকোনো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সামান্য অসুস্থতা দেহের সমগ্র সুখ-শান্তিতে নানা ধরনের ব্যঘাত ঘটায়, তা আমরা অসুস্থ হলেই অনুভব করি। এজন্য প্রত্যেক মানুষেরই নিজ নিজ স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য স্বাস্থ্য সচেতন হওয়া অতীব জরুরি। তাছাড়া কোনো অসুস্থ ব্যক্তি যদি আক্রান্ত রোগের লক্ষণ, উপসর্গ ইত্যাদি বুঝতে পারেন এবং ডাক্তারের কাছে তা সঠিকভাবে প্রকাশ করতে পারেন, তাহলে রোগ নির্ণয় এবং সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ হওয়ার পথ মসৃণ হয়। অধ্যাপক ডা. এম. আলমগীর চৌধুরী দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নাক, কান ও গলার অত্যন্ত দক্ষ ও সুপরিচিত একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এবং সার্জন। তিনি ঢাকার স্বনামধন্য আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের নাক, কান ও গলা বিভাগের জনপ্রিয় শিক্ষক, অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান হিসেবে অভিজ্ঞতায় সমৃদ্ধ। নাক, কান ও গলা বিষয়ে শিক্ষকতা এবং পেশাগত দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে দেশের জনসাধারণকে স্বাস্থ্য সচেতন করার লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি দেশের বিভিন্ন শীর্ষ স্থানীয় পত্রিকায় সহজবোধ্য ভাষায় নিবন্ধ প্রকাশ এবং টেলিভিশনের টকশোতে স্বাস্থ্য বিষয়ক অনুষ্ঠান করে আসছেন। বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় প্রকাশিত অধ্যাপক ডা. এম. আলমগীর চৌধুরীর প্রকাশিত নিবন্ধগুলো নিয়ে প্রকাশিতব্য নাক কান গলা চিকিৎসা ও সচেতনতা গ্রন্থটি নিঃসন্দেহে দেশের সাধারণ মানুষকে এ সমস্ত অসুখ বিষয়ে সচেতন করতে এবং প্রতিকার পেতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। যেহেতু এ বিষয়ে বাংলায় লিখিত বই অপ্রতুল, তাই সহজবোধ্য মাতৃভাষায় নাক, কান ও গলার জটিল বিষয়গুলোকে বুঝতে এ বইটি শিক্ষানবিশ ডাক্তার এবং এমনকি সাধারণ পাঠকদেরও সহায়তা করবে এবং তাদের এ সংক্রান্ত ধারণাকে মজবুত করবে। বাংলাদেশের মানুষ বর্তমানে অনেক সচেতন হয়েছে এবং সব পেশার মানুষের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় জানবার আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। এককথায় পৃথিবীর অন্যান্য উন্নত দেশের মতো আমরাও জ্ঞানভিত্তিক সমাজের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছি। আধুনিক বৈজ্ঞানিক চিন্তাধারার অগ্রদূত এবং জ্ঞানভিত্তিক সময়ের পথপ্রদর্শক ফ্রান্সিস বেকনের উক্তি scientia potentia est অর্থাৎ ‘জ্ঞানই শক্তি’। জ্ঞানবিজ্ঞানে যারা এগিয়ে তারাই বর্তমান বিশ্বকে নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং ভবিষ্যতেও এক্ষেত্রে যারা এগিয়ে থাকবে তারাই বিশ্বসভ্যতাকে নেতৃত্ব দিবে। আমি মনেপ্রাণে অত্যন্ত দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এ বইটি তাঁর আবেদন ও যোগ্যতার কারণেই পাঠ মহলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। আমি বইটির উত্তরোত্তর সাফল্য ও সমৃদ্ধি কামনা করি।