বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পৃথিবীর সকল মানুষের নবী। তাঁর প্রদর্শিত পথ থেকে যারা বিচ্যুত তাদের চেয়ে বড় দুর্ভাগা কেউ নেই। আদি নবী ও ফেরেশ্তা থেকে শুরু করে সারা জাহান বিশ্ব প্রকৃতি তার প্রশংসায় ব্যান্ত। বিশ্বের জ্ঞানীগুণী সকলেই তাঁর প্রতি শ্রদ্ধায় অবনত। তাঁর জীবনে এমন কিছুই ছিল না যাতে পৃথিবীর মানুষের কল্যাণ নেই। তাঁর জন্যই সৃষ্টি হয়েছিল পৃথিবী। সৃষ্টি হয়েছিল মানবজাতি, আকাশ-বাতাস, সাগর-নদী, পাহাড়-পর্বত সবকিছু। তিনি সকল মানুষের সকল কালের সর্বশ্রেষ্ঠ নবী। তাঁকে ভালবাসা, তাঁর প্রতি মহব্বত রাখা, সকল কাজে তাঁর অনুসরণ করা প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অপরিহার্য। পূর্ণাঙ্গ ঈমান লাভের জন্য মহানবীর অনুস্বরণ-অনুকরণ পূর্বশর্ত। হুজুর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের মধ্যে কোন লোকই পরিপূর্ণ ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত আমি তার নিকট সমস্ত কিছুর চেয়ে অধিক প্রিয় না হব। অন্যত্র ইরশাদ করেন, সে ব্যক্তি ঈমানের স্বাদ আস্বাদন করবে যার নিকট আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের ভালবাসা সকল কিছুর চাইতে অধিক পরিমাণ। বন্ধুবর হাফেজ আহমদ উল্লাহ দারুল উলূম দেওবন্দ থেকে কিছু ধর্মীয় কিতাব নিয়ে আসে। সেখানে মাওলানা যুলফিকার আহমদ নকশবন্দীর 'ইশকে রাসুল সা.' কিতাবটি দেখতে পেলাম এবং খুব আগ্রহের সাথে কিতাবখানা হাতে নিলাম। পড়লাম। যার দ্বারা আমার হৃদয়ে একটি কোমল অনুভূতি সৃষ্টি হল। হৃদয়ের উৎস থেকে নবী-প্রেমের একটি ঝর্নাধারা যেন কল্লোল ধ্বনি তুলে বয়ে চলল! কালবিলম্ব না করে তার অনুবাদে হাত দিলাম। স্বল্প সময়ের মধ্যে অনুবাদ শেষ করে ফেললাম। তার সাথে সংযোগ করলাম রাসূলের শানে বিশ্ব কবিদের নির্বাচিত কিছু কবিতা। আশাকরি বইটি পড়ে পাঠক উপকৃত হবেন। অনুবাদ কিংবা মুদ্রণজনিত কোন ভুল নজরে পড়লে আমাদেরকে অবহিত করলে পরবর্তী সংস্করণে তা শোধরে নেওয়ার চেষ্টা করবো। ইনশাআল্লাহ!
জুলফিকার আহমদ নকশবন্দি (জন্ম: ১ এপ্রিল ১৯৫৩) একজন পাকিস্তানি ইসলামি পণ্ডিত এবং নকশবন্দি তরিকার সুফি। তিনি পাঞ্জাব প্রদেশের ‘ঝং’ জেলায় অবস্থিত মাহদুল ফাকির আল ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা। ২০১১ সালে ভারত ভ্রমণ করেন ভারতের হায়দরাবাদের ঈদগাহ বিলালী মনসাব ট্যাঙ্ক ও চঞ্চলগুদা জুনিয়র কলেজে কয়েকটি সম্মেলনে ভাষণ দিয়েছিলেন। তারপরই তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। দারুল উলুম দেওবন্দের মসজিদে রশিদ এবং দারুল উলুম ওয়াকফ দেওবন্দের অনুষ্ঠানেও বক্তব্য রাখেন।