আমেরিকার সিআইএতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সোহান ওরফে স্যামুয়েল চৌধূরী ইতালির ইন্টেলিজেন্স এন্ড সিকিউরিটি এজেন্সির (আইএসএ) একজন চৌকষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা। আইএসএ পুলিশ স্পেশাল ব্রাঞ্চ তাকে এক গুরুত্বপূর্ণ মিশনের দায়িত্ব দেয়। দক্ষিণ ইতালির টাইরহেনিয়ান উপকূলে রেজিও ক্যালাব্রিয়ার মেট্রোপলিটান সিটির একটা বৃহত্তম সমুদ্রবন্দর জিওইয়া টাউরো দিয়ে কন্টেইনার, যাত্রীবাহী ও মালবাহী জাহাজের মাধ্যমে ল্যাটিন অ্যামেরিকার দেশ ব্রাজিল, আফ্রিকা ও আলবেনিয়া থেকে সাগরপথে কোকেন, গাঁজা ও হেরোইনের বড়ো চালান ইতালিতে প্রবেশ করে এবং পরে তা সারা ইউরোপে ছড়িয়ে পড়ছে। আইবেরিয়ান এই উপদ্বীপ বন্দর দিয়ে অপরাধীচক্র গোপনে অবৈধ মেয়ে পাচার করে তাদেরকে আসামাজিক কাজে লাগাচ্ছে ও পুরুষদের অন্যায়ভাবে বিভিন্ন দেশের কৃষি ও শিল্প শ্রমবাজারে সরবরাহ করে শোষণ করছে। এসব অবৈধ উপায়ে তারা বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করছে। এই অবৈধ ব্যবসার মূল উৎপাটনে আগে ক্যারাবিনিয়ারি অফিসের আরেক গোয়েন্দা কর্মকর্তা মেট্টিয়া বিয়াঞ্চিকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিলো। সম্প্রতি তিনিও নিখোঁজ। চারটি মহাদেশের বিভিন্ন দেশে অবৈধ চোরাচালান ও মানবপাচারের নেটওয়ার্কের সাথে আন্তর্জাতিক শক্তিশালী কয়েকটি সন্ত্রাসী গোষ্টীও জড়িত ।