কাশি হলে আমরা তুলসী পাতার রস খাই। আদা, মধু ও উষ্ণ পানি-প্রকৃতির এই তিন অনুপানের সংমিশ্রণে কাশি ও ঠান্ডার চিকিৎসাপদ্ধতি আজও এই আধুনিক সমাজে মহাসমারোহে প্রচল। চিকিৎসাবিজ্ঞান কিন্তু আজও কাশির যথাযথ নিরাময় আবিষ্কার করতে পারে নি। আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান অম্বলের প্রতিরোধ করতে পারলেও প্রতিকার দিতে পারে নি। কিন্তু এ সমাজে অম্বলের প্রধান নিরাময় এখন আদা-উদ্ভিদ। হয়তো-বা এটাই মানবজীবন। খ্রিষ্টপূর্ব ২৭০০ অব্দের দিকে মেরিতাহ নামক একজন নারীকে মিশরের রাজসভায় প্রধান চিকিৎসক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে তিনি সর্বপ্রাচীন নারী চিকিৎসক হিসেবে স্বীকৃত। মেরিতাহ'র চিকিৎসার প্রধান উপকরণ ছিল উদ্ভিদজগৎ। আর এটাই ছিল মূলত মিশরীয়দের সেই প্রাচীন চিকিৎসাপদ্ধতি। উদ্ভিদের ভেষজ গুণাগুণ কাজে লাগিয়ে সেসময়ে যে চিকিৎসা শুরু হয়েছিল, তার প্রভাব পুরো পৃথিবীতেই পড়েছিল। যা আমাদের প্রাচীন সমাজ থেকে আজ অবধি সমগ্র চিকিৎসায় অত্যন্ত সচল। নিসর্গের উজ্জ্বল লেখক মোকারম হোসেন-এর বিচিত্র উদ্ভিদের ভেষজগুণ গ্রন্থটি ভেষজ চিকিৎসা জগতে আরও প্রভাব বিস্তার করবে-এটা আমাদের দৃঢ় উপলদ্ধি। মানুষের যেখানে যেখানে আশ্রয়, তা নিয়েই মানবযাত্রা অব্যাহত থাকবে
জন্ম মাতুলালয়ে, ৩০ অক্টোবর। বাবা : একেএম ফজলুল করিম, মা : মনোয়ারা বেগম। গ্রাম : লক্ষণপুর, পোস্ট : ভবানীজীবনপুর, উপজেলা : বেগমগঞ্জ, জেলা : নোয়াখালী। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রন্থাগার বিজ্ঞানে ডিপ্লোমা। একযুগেরও বেশি সময় দৈনিক প্রথম আলোয় ‘প্রকৃতি’ কলামে লিখছেন। প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ৩৮। উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ : বাংলাদেশের নদী, বর্ণমালায় বাংলাদেশ, বিশ্বের সেরা দর্শনীয় স্থান, বাংলাদেশের মেলা, ঘুরে আসি বাংলাদেশ, বাংলাদেশের ফুল ও ফল, জীবনের জন্য বৃক্ষ, বিপন্ন প্রজাতির খেরোখাতা, প্রকৃতি ও প্রাণসম্পদ (সম্পাদনা), বাংলার মুখ আমি দেখিয়াছি, ঋতুর রঙে ফুলের শোভা, আমাদের সবুজ বন্ধুরা, ভোরের ফুল সন্ধ্যার পাখিরা, আমাদের পার্ক ও উদ্যান, ছয় রঙের বাংলাদেশ, বাংলার শত ফুল, জীবনানন্দ দাশের রূপসী বাংলার পুষ্প-বৃক্ষ ইত্যাদি। পরিবেশসাহিত্যে বিশেষ অবদানের জন্য ২০০৩ সালে কাজী কাদের নওয়াজ স্বর্ণপদক, ১৪০৮ ও ১৪১০ সালে অগ্রণী ব্যাংক শিশুসাহিত্য পুরস্কার এবং ২০১১ সালে এম নুরুল কাদের শিশুসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন। নেশা ছবি তোলা ও ভ্রমণ।