রানুর খুব ইচ্ছা করছে তমালের পাশে বসে কাঁধে মাথা রেখে বলতে— তমাল তোমাকে আমার কী ভীষণ ভালোবাসতে ইচ্ছে করে! কিন্তু আমি যে এখন লাশ। কোনো এক ফাগুনের নয় তারিখ রাতে ফক্ফকে ভেসে যাওয়া জোছনার আলোয় আমার মায়ের ঠকে যাওয়া অদৃষ্ট, মিথ্যা মমতার লালসা দিয়ে আমাকে খুন করেছে। : জোছনার রঙ লাল “কী যে সুখের দিন কাটছে ওর। এখন অনেকে ওকে আদর করে। টাকা দেয়। হুজুরেই জামা বানিয়ে দেন। একটা রেহাল, পুরান একটা ব্যাগ, আর একটা জরিওয়ালা রুমাল ওমরের সম্পদ। মাদরাসায় ও খুব ভালো থাকে। কিন্তু যখন মাদরাসা ছুটি হয় তখন ওর বুক ফেটে কান্না আসে। কিছুটা ভয়ও করে। মাদরাসা ছুটি হলে ও মসজিদের খাদেমের সাথে মসজিদের বারান্দায় ঘুমায়। হুজুরের জন্য বিভিন্ন বাড়ি থেকে যে খাবার আসে, সেই খাবার ওমর আর খাদেম চাচা খায়” : ভাঙা রেহাল আর একটা ব্যাপারেও কলির খটকা লাগে। বড়লোক আর গরিব লোকের মুখের ভাষা এমন আলাদা কইরা কে বানায় রাখছে! আচ্ছা ইস্কুল রে স্কুল, লুডিরে রুটি, কইতর রে কবুতর কইতে পারলেই সবাই উন্নত মানুষ হইয়া যায়?... রাফি এই বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ একজন। বিদেশি কুত্তা! থুক্কু কুকুর। কুত্তা কইয়া একবার যেই থাপ্পড় খাইছে! কলি বুঝে পায় না— শহর এমন কেন! ‘মানুষের তন কুত্তার দাম বেশি। বেশি না শুধু হাজার গুন বেশি!’ : পলাশের ডালে রাঙা ভোর