ব্রিটিশ লেখক, প্রযোজক, পরিচালক ও মানবাধিকার কর্মী এলসপেথ ওয়েলডি মূলত 'সেরিব্রাল পালসি' নিয়ে কাজ করেন। তিনি এই স্নায়বিক রোগটি সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে চিত্রনাট্য লিখেন এবং সেগুলো প্রযোজনাও করেন। ওয়েলডি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন যে চলচ্চিত্রকে বিশ্বব্যাপী সামাজিক পরিবর্তনের একটি শক্তিশালী হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তাঁর ‘সি দ্যা পার্সন' একটি সিরিয়াস ফিল্ম স্ক্রিপ্ট । সমাজ থেকে কুসংস্কার দূর ও গণ-সচেতনতা সৃষ্টি করতে তিনি বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে 'সেরিব্রাল পালসি' নিয়ে এই গল্পটি লিখেছেন। এতে দেখা যায় ফরিদা আহমেদ নামের প্রধান চরিত্রটি নিজেই ‘সেরিব্রাল পালসি' আক্রান্ত। সে বুদ্ধিবৃত্তিক দিক থেকে মেধাবী হলেও শারীরিকভাবে অক্ষম, হুইল চেয়ারে চলা-ফেরা করে। মানুষ তাকে কটুকথা শোনায়, তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করে। তবুও সে দমে যায় না। সে 'সেরিব্রাল পালসি আক্রান্ত সব মানুষের অধিকার অর্জনের জন্য লড়াই করে। এ কাজে তাকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসে ফিরোজ। সে কাজ করে পথশিশুদের নিয়ে। একসাথে পথ চলতে চলতে ফিরোজ ও ফরিদার মধ্যে একটি প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। তাদের সম্পর্কে বাঁধার প্রাচীর হয়ে দাঁড়ায় ফিরোজের বড়লোক বাবা মিস্টার মালমুদ । গল্প মোড় নেয় অন্য দিকে...