আসলে তো কথা ছিল প্রতিটি মুসলিম শিশু-ই তার বাবা-মায়ের পাঠশালা থেকে ইসলামের মৌলিক জ্ঞানগুলো শিখবে। শিশুদের এই জ্ঞান আরো প্রসারিত হবে সবচেয়ে কাছের মহাপবিত্র এক বিদ্যাপীঠ মসজিদ ভিত্তিক মক্তব থেকে। অতঃপর জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় বিচরণ করবে, বড় বড় মাদ্রাসায় অধ্যায়ন করে। তারপর দেশ-বিদেশ চষে বেড়াবে বিদ্যান্বেষনে। তবেই না মুসলিম জাতি ইহ্কালে পাবে সম্মানজনক জীবন ও রাজত্ব আর পরকালে পাবে চির মুক্তি ও জান্নাত। কিন্তু জ্বীন ও মানব জাতির মধ্যে যারা শয়তান তারা চায় মুসলিম জাতি যেন অশিক্ষিত ও দুর্বল থাকে যাতে কাফেররা মুসলিমদের গোলাম হিসেবে দুনিয়াতে আর জাহান্নামী হিসেবে আখেরাতে দেখতে পায়। আর এ জন্য-ই আমাদের ঘর থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পর্যন্ত ইলমের পবিত্রতা নষ্ট করতোঃ পাপাচার, অশ্লীলতা, অশিক্ষা, কুশিক্ষা, নাস্তিকতা আর বর্বরতার মহা ধ্বংসযজ্ঞ চালু করেছে কোমলমতি শিশুদের হাতে হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে। এমতাবস্থায় মুসলিম জাতিকে বাঁচাতে শিশুদের মাঝে অহির জ্ঞান বিতরণ করে প্রকৃত মুসলিম নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে যারা কাজ করে যাচ্ছেন আমরা তাদের কাতারের শেষ ও ক্ষুদ্রতম একজন। মাশা-আল্লাহ, ইতোমধ্যে ইসলামিক বিদ্যানগণ বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য বাস্তবমুখি সিলেবাস ও পাঠ্যপুস্তক প্রস্তুত করে শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিয়েছেন। মহান আল্লাহ তাদের উত্তম জাযা দান করুন। আমাদের এই ‘ইলমের পাঠশালা’ যদি পাঠক মহলের বিজ্ঞজনের নিকট শিশু শিক্ষার জন্য উপযুক্ত মনে হয় তবে আমরা বইটি মক্তব, মাদ্রাসা, স্কুলের ইসলাম শিক্ষা সহায়ক সিলেবাসের অন্তর্ভুক্ত করার অনুরোধ রাখলাম। মহান আল্লাহ আমাদের সকল ভাল কাজগুলো কবুল করুন। আমীন।