তারুণ্যের তেরো বছর সাত সমুদ্রে চারণ করে বেড়িয়েছেন সমুদ্রচারী সাজিদ হোসেন। নোঙর করেছেন দেশ থেকে দেশান্তরে- সমুদ্র থেকে সমুদ্রান্তরে। বিশ বছর বয়সের তরুণ চোখে প্রতিভাত হয়েছে সমুদ্রের সাতরূপ আর সমুদ্রে সাগরণের অভিজ্ঞতায় জমা হয়েছে বিশ্বের প্রায় ৭৫টি দেশের নগর-বন্দর-জনপদ। সামুদ্রিকতায় স্পন্দিত হয়েছে যার জীবন, সেই সামুদ্রিক মানুষ সাজিদ হোসেনের নীল কলমে উৎসারিত সমুদ্রকে ঘিরে, নানা স্বাদে নানা আবহে নানা কল্পনায় বিচিত্র-বহুমাত্রিক-বিস্ময়কর বিষয়ের সাবলীল বর্ণনায় সমৃদ্ধ গ্রন্থ নীল নির্জনে একদিকে যেমন আনন্দময়, আবেগময় আর উল্লাসমুখর আবার অন্যদিকে তেমনই রহস্যময়, উত্তেজনাকর ও শ্বাসরুদ্ধকর! .. নৌপ্রকৌ. ড. সাজিদ হোসেন আইএমও (ইউএন) মেরিটাইম অ্যামব্যাসেডর কিশোর মুক্তিযোদ্ধা, সেক্টর-৭ সাজিদ হোসেন একজন সৌখিন লেখক; বিষয়: মুক্তিযুদ্ধ, সমুদ্র, জাহাজ চলাচল, কল্প-বিজ্ঞান এবং তথ্য-প্রযুক্তি। প্রকাশনা - ২৬টি গ্রন্থ, ৪০টি গবেষণাপত্র এবং প্রায় ২৫০টি নিবন্ধ। পেশাগতভাবে, যুক্তরাজ্য ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিলের স্বীকৃতিতে 'চার্টার্ড ইঞ্জিনিয়ার', ইনস্টিটিউট অব মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইন্স অ্যান্ড টেকনোলজির (লন্ডন) স্বীকৃতিতে 'চার্টার্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ার' ও 'কাউন্সিল মেম্বার', জাতিসংঘের অঙ্গসংস্থা ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানাইজেশনের (লন্ডন) একজন 'আইএমও মেরিটাইম অ্যামব্যাসেডর', জাতিসংঘের আইএমও পরিচালিত ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির (সুইডেন) বোর্ড অব গভর্নসের একজন 'গভর্নর', আন্তর্জাতিক সমুদ্রগামী জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির কমান্ড্যান্ট (২০০৯-২০২৩) এবং মহান মুক্তিযুদ্ধকালে ৭ নম্বর সেক্টরে 'মধুপুর মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের' একজন 'কিশোর মুক্তিযোদ্ধা' (বয়স ১১/১২) সমুদ্রজীবনে [১৯৮০-১৯৯৩] ভ্রমণ করেছেন প্রায় ৬০টি দেশ। ১৯৯৩ থেকে কর্ণফুলীর মোহনায় অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন একাডেমির প্রশিক্ষণে নিয়োজিত এবং একাডেমির কমান্ড্যান্ট (২০০৯-২০২৩)। অধ্যয়ন করেছেন সেলিম-নাজির হাইস্কুল (পাবনা), রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ, বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি (চট্টগ্রাম), সাউথ টাইনসাইড কলেজ (যুক্তরাজ্য) এবং ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনির্ভাসিটিতে (সুইডেন); পেশাগত সম্মানসূচক স্বীকৃতি হিসাবে
মুক্তিযুদ্ধকালে এগারাে বছরের কিশাের সাজিদ হােসেন তার মুক্তিযােদ্ধা পিতার [অ্যাড, আমজাদ হােসেন] সঙ্গে মুক্তিযােদ্ধা হওয়ার আকাঙ্ক্ষায় চলে যান নওগাঁর সীমান্তবর্তী মধুপুর মুক্তিযােদ্ধা ক্যাম্পে তিনজন কিশােরের সঙ্গে গেরিলা গ্রুপের অস্ত্রসস্ত্রের প্রস্তুতি ও রক্ষণাবেক্ষণ এবং বার্তাবাহকের কাজে নিয়ােজিত ছিলেন। ক্যাম্পের। স্মৃতি নিয়ে ২০০০ সালে প্রকাশ করেছেন একাত্তরের প্রমিথিউস। কিন্তু এজন্য তাকে তার মেরিন একাডেমীর প্রধান প্রকৌশলী পদ থেকে ২০০৩ সালে সাময়িক বরখাস্ত হাইকোর্টের মাধ্যমে স্থগিত] এবং ২০০৫ সালে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে। পেশায় নৌপ্রকৌশলী (সমুদ্রগামী জাহাজের প্রধান প্রকৌশলী]। সমুদ্রজীবনে [১৯৮০-১৯৯৩] ভ্রমণ করেছেন ৬০টি দেশ । অধ্যয়ন করেছেন রাজশাহী ক্যাডেট কলেজ, মেরিন একাডেমী (চট্টগ্রাম), সাউথ টাইনসাইড কলেজ (যুক্তরাজ্য) এবং ওয়ার্ল্ড মেরিটাইম ইউনির্ভাসিটিতে (সুইডেন)। জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্গানইজেশনের ‘মেরিটাইম বিশেষজ্ঞ, বৃটিশ ইঞ্জিনিয়ারিং কাউন্সিলের ‘চার্টার্ড মেরিন। টেকনােলজিস্ট এবং ইন্সটিটিউট অব মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং, সাইন্স অ্যান্ড টেকনােলজির লিন্ডন] ‘ফেলাে। বর্তমানে তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে জাহাজ চলাচল সম্পর্কিত বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়ােজিত আছেন। তার প্রকাশনায় রয়েছে মুক্তিযুদ্ধ, সমুদ্র-চলাচল, কল্প-বিজ্ঞান এবং তথ্য-প্রযুক্তি সম্পর্কিত ৮টি গ্রন্থ, ১৬টি গবেষণাপত্র এবং প্রায় ২০০টি নিবন্ধ ।।