ইসরায়েলকে অন্ধ সমর্থনের পেছনে পশ্চিমা বিশ্বে যে সাফাই সবসময় দেওয়া হয়ে থাকে, সেটা হলো ইসরায়েল মধ্যপ্রাচ্যের একমাত্র ‘গণতান্ত্রিক’ দেশ; তাই যে-কোনো মূল্যে ইসরায়েলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। বলা হয়, আরব নাগরিকেরা ইসরায়েলে পূর্ণ অধিকার পান। এ ধারণাগুলো কতখানি সঠিক? ইসরায়েলের আরব নাগরিকরা কি ইসরায়েলের ‘গণতন্ত্রের’ সমান অংশীদার? নাকি ইসরায়েলের ইহুদি ও অইহুদি নাগরিকদের মাঝে রয়েছে কোন বর্ণবাদী বন্দোবস্ত? এমনই অজস্র সব কৌতূহলের উত্তর দেবে বহুল আলোচিত ইসরায়েলি আরব নাগরিকদের নিয়ে বাংলা ভাষায় রচিত প্রথম পূর্ণাঙ্গ ও মৌলিক গ্রন্থ ইসরায়েলের আরব জনগোষ্ঠী: বঞ্চনা ও প্রান্তিকতার ইতিবৃত্ত। আরবি ভাষায় ‘নাকবা’ বা মহাবিপর্যয় নামে পরিচিত একটি রক্তক্ষয়ী ইসরায়েলি আক্রমণে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্যালেস্টাইনি জনগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ পরিণত হলেন উদ্বাস্তুতে, আর একটা অংশ নিজ দেশেই অবাঞ্ছিত পরবাসীতে পরিণত হলেন। এ দ্বিতীয় অংশটিই ইসরায়েলি আরব নাগরিক। পরাজিত, নেতৃত্ববিহীন, ভগ্নহৃদয়, হতবিহ্বল জনগোষ্ঠীটি নিরন্তর নিষ্ঠুর পরিবেশের সাথে কীভাবে লড়াই করে চলেছে, সে সংগ্রামী আখ্যান এ গ্রন্থের বিষয়বস্তু। জাতিসংঘসহ অনেকগুলো আন্তর্জাতিক সংস্থা তাদের দলিলপত্রে ইসরায়েল রাষ্ট্রটির বৈষম্যমূলক আইন নিয়মকানুনগুলো নিয়ে যে মূল্যায়নগুলো করেছে, সেগুলো এখানে সবিস্তারে পাঠক পাবেন। সম্পত্তির মালিকানা, চাকরি কিংবা বসবাসে আরব নাগরিকদের ওপর বিধিনিষেধের বিবরণও এখানে মিলবে। অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজা ভূখণ্ডের প্যালেস্টাইনি জনগোষ্ঠীকে নিয়ে রচিত লেখকের ইসরাইলের পুত্রগণ: ইহুদি জনগোষ্ঠীর ৪০০০ বছরের ইতিহাস গ্রন্থটিও পাঠক মহলে বিপুলভাবে সমাদৃত হয়েছিল।