সিক্রেট ডায়েরি একটি জীবনকাহিনি। চরম অবহেলা, সীমাহীন বঞ্চনা আর দিনের পর দিন মানসিক নির্যাতনের শিকার এক নারীর জীবনকাহিনি। এই জীবনকাহিনি সেই নারীর যে নারীর লাশের পাশে পড়ে থাকা ডায়েরির মাঝেই লুকিয়ে আছে তার প্রতি অবহেলা, বঞ্চনা আর নির্যাতনের কাহিনি, লুকিয়ে আছে তার আত্মহত্যা, হত্যা কিংবা স্বাভাবিক মৃত্যুর রহস্য। সেই নারীর নাম প্রান্তি। পুলিশ প্রান্তির মোবাইল ফোনের কল রেকর্ডের সূত্র ধরে পায় স্বনামধন্য লেখকের মোবাইল নাম্বার, লেখকের ইন্টারভিউ নিয়ে উদ্ধার করে প্রান্তির লিখে যাওয়া ডায়েরি। পুলিশ প্রান্তির লিখে যাওয়া ডায়েরির বিবরণ নিয়ে তদন্ত শুরু করে। তদন্তের মাঝে বেরিয়ে এলো আরেক মেয়ের নাম, যে মেয়ের সাথে জড়িয়ে আছে প্রান্তির স্বামী রাজিবের পরকীয়ার সম্পর্ক। পুলিশ খুব সতর্কতার সঙ্গে তদন্তকাজ চালিয়ে যাচ্ছে কিন্তু সবকিছু নির্ভর করছে ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ওপর। পুলিশের হাতে একসময় ময়না তদন্তের রিপোর্টও এলো, বেরিয়ে এলো প্রান্তির মৃত্যুর রহস্য। লাশের ময়নাতদন্ত হয় কিন্তু নিষ্প্রাণ হৃদয়ের তো ময়নাতদন্ত হয় না, একথা ভেবেই হয়তো প্রান্তি ডায়েরির পাতায় লিখে গেছে তার অনুভূতিহীন হৃদয়ের কথা, তার লেখা সিক্রেট ডায়েরিতে।