শিশুরা গল্প পড়তে ভালোবাসে। কেমন হয়, যদি গল্পচ্ছলে শিশুদের সাধারণ ও ইসলাম শিক্ষা দেওয়া হয়! ফাতিমা সিরিজের গল্পগুলো এমনভাবে সাজানো হয়েছে যেন তা শিশুকে ভালো মুসলিম হিসেবে গড়ে তুলতে সাহায্য করে। এই সিরিজের গল্পগুলোর মাধ্যমে শিশুরা মাহরাম ও পর্দা সম্পর্কে জানবে, নিজেকে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায় সেই কৌশলও শিখবে। ছোট ভাই-বোনদের কীভাবে যত্ন করতে হয়, কীভাবে নিজের আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে হয় এবং স্ক্রিন আসক্তি কীভাবে দূর করা যায় তা শিখবে। প্রতিটি গল্প শেষে নানা রকম এক্টিভিটি পেইজ আছে যা শিশুদের একদিকে আনন্দ দেবে, অন্যদিকে গল্পের শিক্ষণীয় বিষয় সহজভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। এক বক্সে পাঁচটি বই সোনামণি সিরিজ ১: ছোটু (সিবলিং রাইভালরি, ছোট ভাই-বোনদের প্রতি যত্ন শিখি) সোনামণি সিরিজ ২: দুষ্টু আইসক্রিমওয়ালা (মাহরাম চিনি, নিরাপদ থাকি) সোনামণি সিরিজ ৩: হাসি কান্না (আবেগ নিয়ন্ত্রণ শিখি) সোনামণি সিরিজ ৪: সাজুগুজু (পর্দার পোশাক) সোনামণি সিরিজ ৫ ফাতিমা আর বিড়াল ছানা, ফোনটা তাদের ধরতে মানা (স্ক্রিন আসক্তি) ছোটু ফাতিমার ছোট ভাই আব্দুল্লাহর জন্ম হয়। ফাতিমার আদরে যেন সে ভাগ বসায়। ভাইয়ের প্রতি তার ক্ষোভ তৈরি হয়। একদিন ঘটে এক মজার ঘটনা। কী সেই ঘটনা? এই গল্পের মাধ্যমে শিশুরা ছোট ভাই-বোনের প্রতি ভালোবাসা শিখবে। ভাই-বোন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দেওয়া নিয়ামত। এদের ভালোবাসলে, যত্ন নিলে, আল্লাহ খুশি হোন। গল্প শেষে বিভিন্ন এক্টিভিটি পেইজের মাধ্যমে গল্পের শিক্ষণীয় বিষয় সহজভাবে বোঝানো হয়েছে। দুষ্টু আইসক্রিমওয়ালা আসমা নামের ছোট্ট মেয়েটি আইসক্রিমওয়ালার পেছন পেছন চলে যায়। ফাতিমা বারান্দা থেকে তা দেখে আর ভাবে। কোথায় হারিয়ে গেল মেয়েটি? কীভাবেই বা উদ্ধার করা যায়? এই গল্পের মাধ্যমে শিশুরা মাহরাম সম্পর্কে জানবে। নিজেকে কীভাবে নিরাপদ রাখা যায় সেই কৌশলও শিখবে। প্রতিটি গল্প শেষে এক্টিভিটি পেইজ আছে যা গল্পের শিক্ষণীয় বিষয় সহজভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। হাসি কান্না ফাতিমার মনে নানা রকম অনুভূতি আসে। কখনো প্রচণ্ড রাগ হয়, কখনো অভিমানে মুখ লুকিয়ে রাখে। এমন নানা রকম অনুভূতি আসা স্বাভাবিক। কিন্তু এসব নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে হয়। কীভাবে ফাতিমা আবেগ নিয়ন্ত্রণ করা শেখে? এই গল্পের মাধ্যমে শিশুরা বিভিন্ন আবেগ সম্পর্কে জানবে। একজন মুসলিম কীভাবে আবেগ নিয়ন্ত্রণ করে, কীভাবে অন্যের প্রতি সহানুভূতিশীল হয় তা শিখবে। প্রতিটি গল্প শেষে বিভিন্ন এক্টিভিটি পেইজ আছে যা শিশুকে গল্পের শিক্ষণীয় বিষয় সহজভাবে বুঝতে সাহায্য করবে। সাজুগুজু ফাতিমার সাজতে খুব ভালো লাগে। সে সারাদিন সাজে আর আয়নায় নিজেকে দেখে। একদিন মা তাকে জিজ্ঞেস করে, কেন তার বড় বোন সেজে গুজে বাইরে বের হয় না? ফাতিমা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে থাকে। এই গল্পের মাধ্যমে শিশুরা পর্দার পোশাক সম্পর্কে জানবে। একজন মুসলিম হিসেবে কী কী পোশাক পরা উচিৎ তা শিখবে। গল্প শেষে কুইজ, মেইজ আর ক্রাফটের মাধ্যমে গল্পের শিক্ষণীয় বিষয় সহজভাবে বোঝানো হয়েছে। ফাতিমা আর বিড়াল ছানা, ফোনটি তাদের ধরতে মানা ফাতিমা সারাদিন ভিডিও গেইম খেলে, কার্টুন দেখে। এক সময় তার চোখ ঝাপসা হয়ে আসে, পড়াশোনায় মনোযোগ কমে যায়। রাতে ভালো ঘুম হয় না। অবশেষে অসুস্থ হয়ে পড়ে। কীভাবে সে এই স্ক্রিন আসক্তি থেকে মুক্তি পায়? এই গল্পের মাধ্যমে শিশুরা স্ক্রিন আসক্তি সম্পর্কে জানবে। কীভাবে স্ক্রিন আসক্তি দূর করা যায় তা শিখবে। গল্প শেষে মজার সব এক্টিভিটি আছে যা স্ক্রিনের বিকল্প হিসেবে পথ দেখাবে।
ড. উম্মে বুশরা সুমনা, জন্ম গাইবান্ধায়। পিতা মুহম্মদ মকবুল হোসেন; মাতা নুরজাহান আক্তার। শিক্ষক পিতার অনুপ্রেরণাতেই লেখালেখিতে আসা। গাইবান্ধা সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এস.এস.সি এবং গাইবান্ধা সরকারী মহিলা কলেজ থেকে এইচ.এস.সি পাশ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদে ভর্তি হন। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসী অনুষদের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসী ও ফার্মাকোলজী ডিপার্টমেন্ট থেকে পি.এইচ.ডি ডিগ্রী লাভ করেন। বর্তমানে একটি বেসরকারী ইউনিভার্সিটির ফার্মেসী ডিপার্টমেন্টে অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর হিসেবে কর্মরত আছেন। ছোটবেলা থেকে সাহিত্যের প্রতি তার আগ্রহ ছিল। অষ্টম শ্রেণিতে পড়ার সময় ডেইলি স্টার পত্রিকার তার প্রথম লেখা প্রকাশিত হয়। দৈনিক যুগান্তর, ইত্তেফাক, নয়া দিগন্ত, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, জনকণ্ঠসহ বেশ কিছু জাতীয় পত্রিকায় আর ব্লগে বিভিন্ন সামাজিক বিষয়ের উপর তার লেখা কলাম এবং গল্প প্রকাশিত হয়েছে। ২০১৮ সালের একুশে বইমেলায় ‘বলয় ভাঙার গল্প’ নামে প্রথম গল্পগ্রন্থ প্রকাশিত হয়। শিশুদের পাঠ্যপুস্তকের অতিরিক্ত চাপ নিয়ে লেখা কলাম ‘আমাকে একটু ভালোবেসে পড়াও’ এর জন্য দৈনিক ইত্তেফাক দ্বারা তিনি পুরস্কৃত হন। ২০২০ সালে শিশু-কিশোরদের মানবীয় গুণাবলী বিকাশের জন্য তার লেখা ছয় খন্ডের ‘আমি হতে চাই’ সিরিজ প্রকাশিত হয়। বইগুলো সরাসরি উপদেশ মূলক নয়। বইয়ের গল্পগুলো শিশুদের আনন্দ দিবে সাথে শিক্ষণীয় কিছু মেসেজও পাবে। গল্পগুলো শিশুদের সত্যবাদিতা, পরোপকারিতা, উদারতা, সহনশীলতা, পরিচ্ছন্নতা, কৃতজ্ঞতাবোধ ইত্যাদি মানবিক গুণাবলি শিখতে উৎসাহিত করবে এবং শিশুদের মানবিক বোধ সম্পন্ন আলোকিত মানুষ হতে সাহায্য করবে।