রং-বেরঙের উপকরণের মধ্যে আমরা আজ আবদ্ধ। খেল-তামাশায় মত্ত হয়ে এখন আমরা দিকভ্রান্ত। বন্দিশালায় বদ্ধ হয়ে, পথ ভুলে আছি বহুকাল ধরে। পথ খুঁজে বেড়াই, পথের সন্ধান ভুলে আবার আপন নীড়ে ফিরে যাই। দুনিয়ার মোহে পড়ে, আপন সত্তাকেই ভুলে যাই; ভুলে যাই এই জগতে আসার মূল উদ্দেশ্যকে। পথহারা পথিকের পথ খোঁজা দরকার। তীর হারা নাবিকের পাল তোলা দরকার। মোহের জগতে নিবদ্ধ লোকের, উত্তরণ দরকার! সেটা কোথায়? সেটা হলো কুরআন ও সুন্নাহ। কুরআন সুন্নাহ'র বাতলে দেয়া পথ ধরে, পথ খুঁজে পেয়েছে কতশত পথভোলা মানুষ। আলোর জ্যোতি গায়ে মেখে দূর করেছে নিকষ কালো অন্ধকার। নূরের ছোঁয়া পেয়ে সজীবতা ফিরে পেয়েছে কতশত মৃত অন্তর। আমরা পথহারা পথিক। নূরের জ্যোতি উপেক্ষা করে অন্ধকার ঘরে জীবন-যাপন করি। পথ খুঁজে পাই না। হেদায়েতের রশ্নি হারিয়ে, মোহের জগতে বিচরণ করি। আস্তে আস্তে আপন সত্তাকে ভুলে নিজের আখেরাত ধ্বংস করি। আমরা সবাই জানি, যে কুরআন-সুন্নাহ বুকে ধারণ করেছে, সে তার সিরাতাল মুস্তাকিম খুঁজে পেয়েছে। আর যে সিরাতাল মুস্তাকিম খুঁজে পেয়েছে, সে-ই সফলকাম। সুতরাং, সঠিক পথের সন্ধান করতে, সফলকাম হতে হলে আমাদেরকে কুরআন-সুন্নাহ বুকে ধারণ করতে হবে। প্রিয় ভাই জুবায়ের আহমেদ, কুরআন-সুন্নাহ -এর আলোকে পথহারা পথিকের জন্য কিছু দিক-নির্দেশনা নিয়ে এসেছেন এই ছোট্ট পুস্তিকায়। গল্পের মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলেছেন, বিভিন্ন বিষয়। পাঠকদের জন্য হতে পারে তা চিন্তার খোরাক; হতে পারে অন্ধকার পথের, আলোর মশাল । "খানিক গেলেই পথ" বইটি সম্পর্কে অভিমত দিয়েছেন পাঠকপ্রিয় 'লড়াই' সিরিজের লেখক মাহমুদ বিন নূর ভাইয়া।