সচেতনে-অবচেতনে অসহযোগী প্রতিযোগিতায় লিপ্ত। সাফল্য ও পূর্ণতার ইচ্ছায় ঝেঁপে পড়েও একে একে ঝরে যায় সাফল্যের অনেক নির্ধারক। উপভোগ প্রিয় জীবনে সার্বক্ষণিক সম্ভাব্য ও নিশ্চিত মৃত্যু জীবন সমাপ্ত করে দিলে আফসোস হয় স্বজনদের। জীবনকে স্বার্থক করতে, দুঃখ-কষ্ট দূরে রাখতে সর্বদা প্রচেষ্টারত কারো কাছে স্রষ্টার অস্তিত্ব, পরকালে বিশ্বাসের আধ্যাত্মিক চিন্তা বৃথা কাজ। স্রষ্টায় বিশ্বাসী ও ধর্মানুসারীদের পথও বিভিন্ন। জ্ঞন-যুক্তি, ঐক্যের বৈচিত্র্যে সুস্থির না হয়ে অসম ও বিরোধপূর্ণ বৈচিত্র্যে একেকভাবে চলছে পরিবার, শিক্ষা-দীক্ষা, চলছে সমাজ ও মানুষ মনস্তাত্ত্বিক অদৃশ্য দেয়াল রেখে; এই ভিন্নতা কখনো তুলে সংঘাতের ঢেউ, যুদ্ধ-হানাহানি। সত্য ও ঐক্যের বিশ্বাস আসলে কী এবং কী তার পদ্ধতি যা জীবনের প্রকৃত মূল্যমান রক্ষা ও সমৃদ্ধ করবে? নিজেকে আবিষ্কার করতে সাহায্য করবে হৃদয়ের অন্তঃস্থিত সৎ উদ্দেশ্য, এবং সঠিক জ্ঞান ও যৌক্তিক প্রক্রিয়ায় বুঝার প্রচেষ্টা । কিন্তু বাস্তবে চতুর্দিকে স্রষ্টার অস্তিত্ব, ধর্মীয়, দার্শনিক, জীবনের উদ্দেশ্যগত ভিন্ন বিশ্বাসের কারনেই রয়েছে পার্থিব জীবনের ব্যবহারিক আচরণ, বিধানাবলীর নানান দৃশ্যমান ও অদৃশ্যমান গরমিল। এক অনিঃশেষ বিভ্রম!
আশাবাদী তরুণ সোহরাব আল আমিনী। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত, যদিও উচ্চশিক্ষার জন্য প্রথম ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। উচ্চমাধ্যমিক পড়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে। ইতোমধ্যে প্রকাশিত হয়েছে বহুমুখী, বিরোধপূর্ণ মতবিশ্বাস ও ভ্রান্তির বেড়াজাল নিয়ে লিখা 'সত্যান্বেষণ' গ্রন্থ। কাজের বৈচিত্রতা এনেছেন 'স্বভাবসিদ্ধ স্বাস্থ্যবিধি' গ্রন্থটি লিখেও। তার লিখার আওতা সীমাবদ্ধ নয়। পেরিয়ে যেতে চান সব বাধাবিপত্তি। ভালো লাগে ধর্মতত্ত্ব, বিজ্ঞান, ইতিহাস, দর্শন ও সাহিত্য পড়তে এবং ঘুরতে। স্বপ্ন দেখেন একটি সুন্দর পৃথিবীর।